Krishak Bandhu Payment Date 2025: কৃষক বন্ধু প্রকল্পে দুর্নীতি! নজরে কৃষিদপ্তর
কৃষক বন্ধু প্রকল্প রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় একটি উদ্যোগ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের এই প্রকল্পে প্রতি বছর হাজার হাজার চাষি সরাসরি আর্থিক সাহায্য পান।
উদ্দেশ্য একটাই – যাতে মাঠে চাষের কাজ করতে গিয়ে যদি কোনও ক্ষতি হয়, তবে অন্তত কিছুটা ভরসা থাকে সরকারের দেওয়া টাকায়। সেই টাকায় অনেক সময় সার, বীজ, কীটনাশক, নিত্যপ্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনা যায়। আবার কারও কারও কাছে এই টাকা ক্ষতির সময়ে খানিকটা সহায়তার মতো কাজ করে।
কিন্তু সমস্যা হলো, একই জমি ভাগ করে একাধিক পরিবারের সদস্য আবেদন করায় উপভোক্তার সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। ফলে প্রকৃত চাষিরা যেমন সুবিধা পাচ্ছেন, তেমনি কিছু অসাধু মানুষও নিয়ম মেনে আবেদন করে টাকাটা তুলে নিচ্ছেন।
কীভাবে হয়ে চলেছে এই কারচুপি?
আগে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদন করতে জমির মালিকানার খুব বেশি খোঁজখবর নেওয়া হতো না। তাই এক জমি দেখিয়ে একাধিকজন টাকা তুলতেন।
এখন অবশ্য নিয়ম কড়াকড়ি হয়েছে। নতুন করে জমি কিনে যদি কেউ আবেদন করেন, তবে আগের মালিকের কাগজপত্রও জমা দিতে হয়। তবুও সমস্যাটা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। যেমন ধরো, বাড়ির কর্তার নামে যদি ১০ বিঘে জমি থাকে, তিনি সেই হিসেবে বছরে ১০ হাজার টাকা পাচ্ছেন।
এবার তিনি জমির তিন বিঘে ছেলের নামে লিখে দিলেন। তখন ছেলে আবার নতুন আবেদন করে টাকা পেয়ে যাচ্ছে। মানে, একই পরিবারের ভেতরে ভাগাভাগি করে অনেকেই সুবিধা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন:- ফসলের ক্ষতিপূরণ পাবার ফর্ম পূরন| BSB Form 2025 Pdf
কৃষিদপ্তরের ভূমিকা
কৃষিদপ্তরের আধিকারিকদের বক্তব্য, তাঁদের হাতে যে নথি আসে তার ভিত্তিতেই যাচাই-বাছাই করা হয়।
সব কিছু ঠিক থাকলে আবেদনকারীর নাম তালিকাভুক্ত করা হয়। এরপর টাকা নিয়ম মেনে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। নিয়ম অনুযায়ী এতে কোনও ভুল নেই, কিন্তু প্রশ্ন উঠছে – তাহলে প্রকৃত চাষিরাই বা কতটা উপকৃত হচ্ছেন?
কত টাকা ভাতা দেওয়া হয়?
এই প্রকল্পে বছরে একজন চাষিকে ন্যূনতম ৪ হাজার থেকে সর্বাধিক ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত সহায়তা দেওয়া হয়। টাকা দেওয়া হয় দুই কিস্তিতে – খরিফ আর রবি মরশুমে।
শুধু নদীয়া জেলার কথাই ধরা যাক – এবছর খরিফ মরশুমে প্রায় ৬ লক্ষ ৪০ হাজারেরও বেশি চাষি টাকা পেয়েছেন। সরকারের তরফে মোট সাহায্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৬৪ কোটি টাকার মতো। এটা প্রশাসনের কাছে রেকর্ড বলেই ধরা হচ্ছে।
আসল সমস্যা কোথায়?
আসল সমস্যাটা হলো, যাঁরা চাষের সঙ্গে যুক্ত নন তাঁরাও নানা কৌশলে কৃষক বন্ধুর তালিকায় নাম তুলছেন। এতে যে কৃষকেরা সত্যিই দিনরাত মাঠে ঘাম ঝরান, তাঁদের প্রাপ্য অংশে ঘাটতি হচ্ছে। ফলে প্রকল্পের আসল উদ্দেশ্য, মানে কৃষকের দুঃসময় সামলে ওঠার সহায়তা, সেটা অনেকটাই ভেস্তে যাচ্ছে।
সাধারণ মানুষ কি বলছে?
গ্রামের অনেকেই বলছেন – সরকার যদি আরও কড়াভাবে জমির ব্যবহার আর আসল চাষির পরিচয় যাচাই করে, তবে প্রকল্পটা আরও কার্যকর হবে। কারণ এই প্রকল্পটা কৃষকের জন্য ভরসার জায়গা। কেউ যদি কারচুপি করে সুবিধা নেয়, তবে সত্যিকারের চাষিদের প্রতি সেটা অবিচার।
আরও পড়ুন:- শ্রমশ্রী প্রকল্পের আবেদন | Shramshree Prokolpo Form Pdf Download
আরও পড়ুন:- শ্রমশ্রী প্রকল্পের অনলাইন আবেদন শুরু | Shramashree App Download
সমস্ত খবরের আপডেট সবার আগে পাওয়ার জন্য আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে আপনারা যুক্ত হয়ে যান নিচের লিংকে ক্লিক করে
টেলিগ্রাম গ্রুপ | জয়েন করুন |
হোয়াটস্যাপ চ্যানেল | জয়েন করুন |