Bangla News Dunia, Pallab : সীতার পাতাল প্রবেশের পর রামও নিজেদের জীবন বিসর্জন দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু মহর্ষি বাল্মীকি ও মা কৌশল্যা তাঁকে নিরস্ত করেন। রাম তখন অযোধ্যা শাসন করার পাশাপাশি নিজের দুই ছেলেকে বড় করতে থাকেন। একজন আদর্শ রাজা ও আদর্শ বাবার সব দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করেন তিনি। রামায়ণ অনুসারে ৩০ বছর ৬ মাস অযোধ্যায় রাজত্ব করেন রাম। ৭০ বছর বয়সে তিনি রাজ্য ত্যাগ করে জল সমাধি গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন : অনলাইনে ইউটিউব থেকে কিভাবে আয় করবেন? রইল স্টেপ বাই স্টেপ গাইড
রামের সঙ্গে যমের সাক্ষাৎ
অযোধ্যায় যখন সবকিছু সুন্দর ভাবে চলছিল, সেই সময় একদিন এক সন্ন্যাসীর ছদ্মবেশে যমরাজ রামের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তিনি বলেন যে তাঁর দরজা বন্ধ করে কথা বলবেন, সেই সময় যদি কেউ ঘরে ঢুকে পড়েন, তাহলে তাঁকে নিজের প্রাণ বিসর্জন দিতে হবে। তখন লক্ষ্মণকে বাইরে পাহারায় রেখে রাম ধর্মরাজ যমের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। যম তাঁকে বলেন যে বিষ্ণুর সপ্তম অবতার রামের এবার সময় হয়েছে বৈকুণ্ঠে ফিরে যাওয়ার।
আরও পড়ুন : এই আবহাওয়ায় কেন খাবেন ডাঁটা ? জানুন বিস্তারিত
জল সমাধি
রামের সঙ্গে ধর্মরাজের কথার মধ্যেই আচমকা ঘরের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে পড়েন লক্ষ্মণ। লক্ষ্মণ বলেন যে ঋষি দুর্বাষা রামের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন এবং এখনই রামের সাক্ষাৎ না পেলে তিনি গোটা অযোধ্যাকে অভিশাপ দেবেন। তাই দাদার নিষেধ অমান্য করে তাঁকে ধরে ঢুকতে হয়। শেষনাগের অবতার লক্ষ্মণ জানতেন যে রাম বৈকুণ্ঠে ফেরার আগে তাঁকেও ফিরতে হবে। তাই সরযু নদীতে জল সমাধি নেন লক্ষ্মণ। এরপর নিজের রাজ্যের দায়িত্ব লব ও কুশের হাতে তুলে দিয়ে জল সমাধি নেন শ্রীরামও। মানব শরীর ত্যাগ করে তিনি বৈকুণ্ঠে ফিরে যান।
আরও পড়ুন : সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে ব্রেকফাস্টে রাখুন এই খাদ্য তালিকা