Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- পানিহাটির পৌরসভার চেয়ারম্যানকে পদত্যাগের নির্দেশ দিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার ফোনে তাঁকে পদ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। অমরাবতী মাঠ দখল করে প্রোমোটিংয়ের অভিযোগে নাম জড়ায় মলয় রায়ের। তাতেই ভীষণ ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ। যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, চেয়ারম্যানের অসুস্থতার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিধানসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক তথা পানিহাটির স্থানীয় বিধায়ক নির্মল ঘোষের দফতর থেকে ফোন করে মলয় রায়কে পদত্যাগের নির্দেশ দেন ফিরহাদ হাকিম। আর এই খবর ছড়াতেই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের অন্দরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রসঙ্গত, স্থানীয় অমরাবতী ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিগত দিনকয়েক ধরেই পানিহাটি পুরসভায় উত্তেজনা চলছে। যার আঁচ পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতেও।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, কলকাতা পৌরনিগমের মেয়র তথা পৌরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে সোমবার রাতেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা হয়। তখনই তিনি পানিহাটি পৌরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভের কথা ফিরহাদকে জানান নেত্রী। তাঁকে যেন পদত্যাগ করতে বলা হয়, তেমনও নির্দেশ দেন বলে সূত্রের খবর। এদিকে পানিহাটির পুরপ্রধানের বক্তব্য, ফিরহাদ তাঁকে ফোন করে বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী চান, আপনি পদ ছাড়ুন। এই প্রসঙ্গে মলয় রায়ের সংযোজন, “কেন হল বুঝতে পারছি না। আমি চক্রান্তের শিকার।”
আরও পড়ুন:- হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক নওশাদ সিদ্দিকীর, জানুন কী কথা হল?
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, পানিহাটি পুর এলাকার অমরাবতী মাঠ অবৈধ ভাবে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে মলয় রায়ের বিরুদ্ধে। এই মর্মে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতো জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে এই বিষয়ে খোঁজ নেন মুখ্যসচিব। জেলা প্রশাসনের দেওয়া রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেন মুখ্যসচিব। তার পরেই তাঁকে পুরপ্রধানের পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।
সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক ছিল পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের। সেই বৈঠকে অমরাবতী মাঠ বিক্রি করে দেওয়ার প্রসঙ্গ ওঠে বলে খবর। এর পরই মঙ্গলবার বিধানসভা থেকে নির্মল রায়কে ফোন করেন ফিরহাদ। ওদিকে তৃণমূল সূত্রে দাবি করা হয়েছে, মলয়বাবুর বয়স হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ। কিডনিতে সমস্যা থাকায় তাঁকে নিয়মিত ডায়ালিসিস করাতে হয়। তার জেরে নিয়মিত পুরসভায় আসতে পারেন না তিনি তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে মলয় রায়ের পর পানিহাটির নতুন পুরপ্রধান কে হবেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
আরও পড়ুন:- আপনার শিশুও কি পট্যাটো চিপসের ভক্ত? অবশ্য়ই জেনে রাখুন এই জিনিস
আরও পড়ুন:- হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি পূরণ করতে পাতে রাখুন এই ফলগুলি