Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ‘কেশরি 2’ মুক্তির আগে অক্ষয় কুমার সাংবাদিক বৈঠকে বলেছিলেন প্রথম 10 মিনিট সিনেমাটা মিস করা উচিত নয় ৷ কেন তিনি এমনটা বলেছিলেন, তা যাঁরা দেখে নিয়েছেন তাঁরা জানেন ৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত যাঁরা করণ সিং ত্যাগী পরিচালিত ‘কেশরি চ্যাপ্টার 2: দ্য আনটোল্ড স্টোরি অফ জালিয়ানওয়ালা বাগ’ দেখেননি তাঁরা এই উইকএন্ডে প্ল্যান করতে পারেন ৷
কেন দেখবেন কেশরি 2 ?
পুরো সিনেটাই দেখলে বোঝা যায় পরিচালক করণ জ্বলন্ত ইতিহাস যেন রেখে দিয়েছে সকলের সামনে ৷ আইনজীবী চেত্তুর শঙ্কারান নাইয়ারের চরিত্রে অক্ষয় কুমারের কঠোর পরিশ্রম ও তপস্যা দর্শকদের মুগ্ধ করত বাধ্য ৷ সিনেমা দেখার জন্য সেরা কয়েকটা পয়েন্ট ৷
1) 1919 সালের 13 এপ্রিল, সন্ধ্য়ে 5টায় জালিয়ানওয়ালা বাগের নির্মমতা কতটা ভয়ঙ্কর ছিল ৷ ব্যাকগ্রাউন্ডে ভারী বুটের আওয়াজ ৷ সকলের চোখে-মুখে চিন্তার ছাপ ৷ জেনারেল রেজিনাল্ড ডায়ার চিৎকার করে বলেন ফায়ার.. বন্দুক থেকে গুলিটা সোজা মাথা এফোর ওফোড় করে দিল ৷ সিনেমা শুরুর প্রথম 10টা মিনিট স্তব্ধ করে দেবে সবকিছু ৷ শুধু শুনতে পাবেন হাজারো মানুষের চিৎকার-হাহাকার আর অসংখ্য গুলির আওয়াজ ৷ লাশে চাপা এক কিশোরের মা ডাক মিশে যাচ্ছে বাতাসে… ৷
2) কোর্টরুমে আইনজীবী শঙ্কারান নাইয়ারের চরিত্রে অক্ষয় কুমারের এন্ট্রি ৷ প্রথম কোর্টরুমের দৃশ্যে অক্ষয় কুমারকে দেখলে রাগ হতে বাধ্য ৷ ব্রিটিশ রাজের তত্ত্বাবধানে কেমন ছিলেন আইনজীবী নাইয়ার, ‘নাইডহুড’ উপাধি পাওয়ার পর কীভাবে সব ওলটপালট হয়ে গেল, সেটাও তো জানা দরকার ৷
আরও পড়ুন:- ২১শে এপ্রিল থেকে রেশন কার্ডের নিয়মে বড় পরিবর্তন। বিপদে পড়তে না হলে জেনে নিন
3) চোখের কোণ এক মুহূর্তের জন্য ভিজতে পারে রাগে-দুঃখে ৷ কিন্তু জানতে তো হবে জালিয়ানওয়ালা বাগের আসল সত্যটা… ঘটনার সূত্রপাত আর টানটান উত্তেজনার শুরু এখান থেকেই ৷ ঘটনাটা ধামাচাপা দিতে কখনও লাশ জলে ভাসিয়ে দেওয়া, কখনও নালায় ফেলা দেওয়া, কখনও ক্ষতিপূরণের নামে টাকা দেওয়া আবার কখনও একটা কমিশন গঠন করা ৷ সবই তো ছিল ক্রাউনকে বাঁচানোর চেষ্টা…. তারপর…
4) সিনেমার সাসপেন্স জমে ওঠে যখন মুখোমুখি লড়াইয়ে নামেন আর মাধবন ও অক্ষয় কুমার ৷ একসময় যিনি ব্রিটিশের পক্ষে ছিলেন সেই শঙ্কারান নাইয়ার কীভাবে বিপক্ষে লড়াই শুরু করলেন, সেখানেও রয়েছে মর্মান্তিক কিছু সত্যি ৷ রক্তের দাগ ৷ যা না জানলেই নয় ৷
5) সিনেমার ছোট ছোট সংলাপ তীক্ষ্ণ ছুড়ির মতো বুকে এসে বাধে… ভালো লাগবে অনন্যা পাণ্ডের অভিনয় ৷ তাঁর অভিনয় ধীরে ধীরে পরিণত হচ্ছে ৷ এই সিনেমা তার বড় প্রমাণ ৷ প্রত্যেক মুহূর্তে অক্ষয় অর্থাৎ শঙ্কারানের পাশে আইনজীবী দিলরিৎ গিল অর্থাৎ অনন্যা কীভাবে ছিলেন, জানলে অবাক হতে হয় ৷
6) গল্প বলার প্রতিটা বাঁকে স্নায়ুর যে লড়াই রয়েছে তা চেপে রাখতে গেলে দীর্ঘশ্বাস বেরোবেই ৷ তবে কী শুধুই আর্তনাদ রয়েছে এই ছবিতে ? না, রয়েছে অনুপ্রেরণা জোগানোর মতো লড়াই ৷ রয়েছে অসম সাহসিকতার অনবদ্য সংজ্ঞা ৷ রয়েছে প্রতিটা যুদ্ধ হেরে যাওয়ার পরও ঘুরে দাঁড়াতে হয় কীভাবে ? আর রয়েছে অক্ষয় কুমারের ম্যাজিকাল সংলাপ যখন তিনি বলেন ‘ইংরেজ তুমি ভারত ছাড়ো….’ বাকি সকলের মতো শেষ দৃশ্যে আত্মতৃপ্তিতে হাততালি দিয়ে উঠবেন আপনিও ৷
জালিয়ানওয়ালা বাগ গণহত্যা ইতিহাসের এক কালো অধ্যায় ৷ যে অধ্যায়ে বা যে সময়ে টাইম ট্রাভেল করিয়েছেন হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ল-তে গ্রাজুয়েট করা পরিচালক করণ ৷ সিনেমার সাফল্য কি শুধুই বক্সঅফিসে ? আড়াই ঘণ্টা প্রেক্ষাগৃহে একটা ছবি দেখার পর তার রেশ যদি মনে-মাথায় না থাকে তাহলে শিল্পকলার কীইবা থাকল ? কেশরি 2 সেই প্রত্যাশা পূরণে চূড়ান্তভাবে সফল ৷ অক্ষয় কুমার, আর মাধবন ও অন্যন্যা পাণ্ডে, সিমন ডে অভিনীত এই ছবি বেশ কিছুক্ষণ স্তব্ধ করে দেবে দর্শকদের ভাবনাচিন্তা ৷
আরও পড়ুন:- ১১ কোটি প্যান কার্ড বাতিল! জানুন প্যান আধার লিংক না করলে কী কী বিপদ হবে?