Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- কোনও মেয়ের স্তনে হাত দেওয়া, পায়জামার দড়ি ছিঁড়ে দেওয়া ও টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা ধর্ষণ বা ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ নয়। একটি মামলার শুনানিতে পর্যবেক্ষণ এলাহাবাদ হাইকোর্টের। আদালত স্পষ্ট বলেছে যে এই ধরনের কাজগুলি প্রাথমিকভাবে গুরুতর যৌন নির্যাতনের অপরাধের আওতায় পড়ে। মামলাটি দুই দুই অভিযুক্ত পবন ও আকাশের বিরুদ্ধে। ১১ থেকে ১২ বছর বয়সের একটি মেয়ের স্তনে হাত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে আকাশ মেয়েটির পায়জামার দড়ি ছুঁড়ে দেয় ও তাকে কালভার্টের নীচে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পথচারীরা বাধা দিলে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন:- কলকাতা নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বিভাগে সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগ চলছে! শীঘ্রই আবেদন করুন
ট্রায়াল কোর্টে মামলা উঠলে পবন ও আকাশের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩৭৬ (ধর্ষণ) এবং পকসো আইনের ধারা ১৮ ধারার অধীনে মামলা প্রয়োগ করা হয়েছিল। নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেন অভিযুক্তরা। বিচারপতি রাম মনোহর নারায়ণ মিশ্রের সিঙ্গল বেঞ্চে তাদের আইনজীবী যুক্তি দেয় যে মামলাটি ধর্ষণের চেষ্টার সমান নয় এবং সর্বোচ্চ ৩৫৪ এবং ৩৫৪-বি ধারার পাশাপাশি পকসো আইনের প্রাসঙ্গিক ধারার আওতায় আসা উচিত। এরপরেই ট্রায়াল কোর্টের আদেশ সংশোধন করে হাইকোর্ট। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইপিসি-র ৩৫৪-বি (আক্রমণ বা অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ) এবং পকসো আইনের ৯ ও ১০ ধারা (গুরুতর যৌন নির্যাতন)-এর অধীনে বিচার করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। হাইকোর্ট সাক্ষীদের বক্তব্য ও অন্য় প্রমাণ খতিয়ে দেখার পর এমন কোনও প্রমাণ পায়নি যে অভিযুক্তরা ধর্ষণ করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজটা করেছে।
হাইকোর্ট বলেছে, ‘আকাশের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ হল, সে নির্যাতিতাকে কালভার্টের নীচে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল এবং তার পায়জামার দড়ি ছিঁড়ে ফেলেছিল। সাক্ষীরাও এটি বলেননি যে অভিযুক্তের এই কাজের কারণে, নির্যাতিতা নগ্ন হয়ে পড়েছিলেন বা পোশাক খুলে ফেলেছিলেন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করার কোনও অভিযোগ নেই।’
আরও পড়ুন:- সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন? এই 5 নিয়ম মেনে চললেই আপনার চাকরি পাওয়া কেউ আটকাতে পারবে না
আরও পড়ুন:- কোন ভুলের কারণে গ্রীষ্মে আগুন লাগে সাধের EV গাড়িতে? জেনে নিন