Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : অসাধারণ পান্ডিত্যের জন্য রীতিমত বিখ্যাত ছিলেন চাণক্য। রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন, সমাজবিজ্ঞান প্রভৃতি সমস্ত বিষয়ে অসামান্য দক্ষতার জন্য বিশ্ব তাঁকে সম্ভ্রমের সঙ্গে স্মরণ করে। এমনকি রাষ্ট্রবিজ্ঞান শাস্ত্রে অসামান্য দক্ষতার জন্য তাকে ‘ভারতের মেকিয়াভেলি’ বলেও ডাকা হয়। একাধিক সমস্যার সমাধান দিয়ে গেছেন, তেমনি এমন অনেক সমস্যার কথাও বলে গেছেন যা থেকে মানুষের দূরে থাকা দরকার। সেই ধরনের কিছু চাণক্য নীতির কথাই আমরা আলোচনা করব। চাণক্যের মতে আদর্শ স্ত্রীর কিছু গুণাবলী নিয়ে। দেখুন সেগুলি কি কি?
১. নারী যদি ধৈর্যশীল হন, তাহলে অবশ্যই পুরুষের আদর্শ সহধর্মিনী হতে পারেন এমনটাই মনে করতেন চাণক্য। জীবনের সুখ এবং দুঃখ চক্রাকারে পরিবর্তিত হয়। সেই কারণেই ধৈর্য অত্যন্ত জরুরী। যে নারীর ধৈর্য রয়েছে, কঠিন সময়েও তার স্বামীর পাশে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে স্বামীকে সাহায্য করবেন। দুঃখ-দুর্দশা শীঘ্রই দূর হবে এবং ফিরে আসবে সুসময়।
২. চাণক্যের মতে আদর্শ স্ত্রীর বড় গুণ হলো তিনি সর্বদা মিষ্টভাষী হবেন। স্ত্রীর মধ্যে এই গুণ থাকে তিনি তার স্বামীকে স্বর্গ সুখ দিতে সক্ষম। কারণ স্ত্রী কর্কশ ভাষী হলে দাম্পত্য জীবনে অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি হয়, এমনটাই মনে করতেন মধ্যযুগের এই দার্শনিক।
৩. চাণক্যের মতে আদর্শ স্ত্রীর অপর একটি গুণ হলো তিনি ধার্মিক হবেন। ধর্মের পথে মানুষকে সর্বদাই মুক্তির দিকে নিয়ে যায়। যিনি ধর্ম মানেন তিনি কখনও পাপকর্মে লিপ্ত হন না, সংসারে সুখ বর্তমান থাকে। তাই তিনি শত কষ্টেও লড়াই থেকে বিমুখ হন না।
৪. চাণক্যের মতে আদর্শ স্ত্রী হবেন শান্ত প্রকৃতির। অকারনে কলহের বাতাবরণ সৃষ্টি করবেন না। শান্ত প্রকৃতির রমণীরা গৃহে সুখের পরিবেশ বজায় রাখেন অন্যদিকে অতিরিক্ত রাগই ধ্বংসের মূল হয়ে দেখা দেয়। শান্ত স্বভাবের স্ত্রী স্বামীর ভাগ্য পরিবর্তনে বড় ভূমিকা গ্রহণ করতে পারেন।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল