Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : করোনা ভাইরাস নানা সময়ে বিভিন্ন রূপে এসেছে। যতবার এসেছে সঙ্গে করে বয়ে এনেছে সমস্যা। তাই বিজ্ঞানীরা বারবারই বলেছেন , এই ভাইরাস থেকে প্রতিটি মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। এমনকী ভাইরাসকে এখনও হালকা ভাবে নেওয়া যাবে না তাই নিয়ে তাঁরা বারবার সতর্ক করছেন। ডেল্টা স্ট্রেইন ভারতের মাটিতে একেবারে ধ্বংসলীলা চালিয়ে গিয়েছে। করোনার এই ভ্যারিয়েন্টের জন্য চারিদিকে ছিল ত্রাহিত্রাহি রব। সব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। হাসপাতালে ছিল না বেড। অক্সিজেনের জন্য তখন হাহাকার। অবশ্য এই সময়টাও কেটে গেল।
কিন্তু তারপরও রেহাই নেই। এবার এল ওমিক্রন। এই ভ্যারিয়েন্টের মারণ ক্ষমতা তেমন না থাকলেও দ্রুত মানুষ সংক্রামিত হতে শুরু করলেন। একধাক্কায় বেড়ে গেল আক্রান্তের সংখ্যা। অবশ্য এখন এসেছে ওমিক্রন বি.এ ২ সাবভ্যারিয়েন্ট। এই উপপ্রজাতি আরও বেশি সংক্রামক। এসবের মাঝেই প্রতিনিয়ত গবেষণা চলছে। কেন কিছু মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে যাচ্ছেন, উত্তর খোঁজা চলছে। এর পিছনে অনেক কারণই থাকতে পারে। তবে রক্তের গ্রুপও এক্ষেত্রে কারণ হতে পারে।
রক্তের গ্রুপ এবং করোনা সংক্রমন —-
বহু মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এমনকী অনেক মানুষের শরীর হয়েছে দ্রুত খারাপ। বিশেষজ্ঞরা জানতে চেষ্টা করেছেন কোন ব্লাড গ্রুপের মানুষের মধ্যে দেখা যাচ্ছে বেশি সমস্যা। সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ গ্রুপের রক্ত যাঁদের শরীরে আছে তাঁরাই এই রোগে বেশি আক্রান্ত হতে পারেন। এই গ্রুপের রক্ত থাকলে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। কারণ করোনার কবলে এলে আপনার সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা কিছুটা হলেও বেশি। তাই সচেতন থাকুন।
এই গবেষণা প্রকাশ পেয়েছে পিএলওএস জেনেটিক্স জার্নালে। এই গবেষণায় গুরুতর করোনার সঙ্গে জড়িত হতে পারে বলে ৩ হাজার প্রোটিন চিহ্নিত করে পরীক্ষা করা হয়। এক্ষেত্রে গবেষণা শেষে বিজ্ঞানীরা ৬টি এমন প্রোটিন চিহ্নিত করেন যা গুরুতর করোনার সঙ্গে জড়িত। এদিকে ৮টি এমন প্রোটিন পাওয়া গিয়েছে যা এই ইনফেকশন থেকে মানুষকে বাঁচাতে পারে। গবেষণা অনুযায়ী, এমন একটি প্রোটিন ইতিমধ্যেই পাওয়া গিয়েছে যা গুরুতর রোগ তৈরি করতে করতে পারে।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল