Bangla News Dunia, সারদা দে :- ক্যান্সার প্রতিরোধে চাঞ্চল্যকর এক তথ্য আবিষ্কার করল মুম্বাইয়ের টাটা মেডিক্যাল সেন্টার। নিয়মিত যোগাভ্যাসের দ্বারা রুখে দেওয়া সম্ভব এই প্রাণঘাতী ব্যাধিকে। এই নিয়ে ট্রায়ালও শুরু দিয়েছে এই মেডিক্যাল সেন্টারের একদল গবেষক।
এই গবেষকদের মতে রক্তে উপস্থিত সাইটোটক্সিকটি লিম্ফোসাইট কোষ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ফলে ক্যানসারের (Cancer) সম্ভাবনা কমে। কিন্তু শরীরচর্চার ফলে যে এই কোষ বৃদ্ধি পায় সেটা এতদিন অজানা ছিলো। সুইডেনের ‘ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট’, ব্রিটেনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়-সহ চারটি সংস্থা এই বিষয়ে গবেষণা চালাচ্ছিল । এই গবেষকরা ইতিমধ্যে প্রমান করে দিয়েছে যে শরীরচর্চা করলেই ক্যান্সার বধ করা সম্ভব হবে।
ইঁদুরের ওপরে পরীক্ষা করার পরেই তারা এই সিদ্ধান্তে এসেছেন। ইঁদুরের শরীরে ক্যান্সারের কোষ তৈরী করে তাকে দৌড় করিয়েছিলেন গবেষকরা। আবার অন্যদিকে কিছু ইঁদুরকে স্বাভাবিক অবস্থায় রাখা হয়েছে। এই পরীক্ষা শেষে দেখা গেছে যেসব ইঁদুরের দৌড়েছে তাদের শরীরে ক্যান্সারের আধিক্য কমে গেছে , অথচ যেসব ইঁদুরেরা বিশ্রামে ছিল তাদের শরীরের কমে নি ।
আরো পড়ুন :- শীতে সুস্থ থাকতে চান ! জেনে নিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
এর পিছনে কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে গবেষকরা দেখেছেন শরীরচর্চার ফলে শরীরে ল্যাকটিক অ্যাসিড উৎপন্ন হয় যা সাইটোটক্সিক টি লিম্ফোসাইট কোষের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। গবেষকরা আশা প্রকাশ করেছেন যে ইঁদুরের পাশাপাশি মানবদেহেও এই পদ্ধতি কাজ করবে। মুম্বাইয়ের গবেষকরা হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করে দিয়েছেন। দুইভাগে ভাগ করে ব্রেস্ট ক্যান্সার রোগীদের উপরে ট্রায়াল হবে।
এই গবেষণাকে যুগান্তকারী বলে আখ্যা দিয়েছেন শহরের অন্যতম ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ডা. দীপ্তেন্দ্র সরকার। টি সেলে মজুত সিডি-৮ ক্যানসার কোষগুলিকে ধ্বংস করে । এই গবেষণার ফলে প্রমাণিত হলো টি সেলের সাথে কোষের সংযোগ স্থাপিত হওয়ার ফলে মানব শরীরে ক্যান্সারের প্রকোপ কমে আসে ।
অধ্যাপক ডা. সিদ্ধার্থ জোয়ারদার জানিয়েছেন ইঁদুরের উপরে এই পরীক্ষা সফল হওয়ার ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধে এক নতুন দিগন্ত খুলে গেলো । নিয়মিত কায়িক শ্রমে শরীরে টি সেল ও ন্যাচারাল কিলার সেল উজ্জীবিত হয় । আর এক্ষেত্রে পেশীতে উৎপাদিত ল্যাকটিক অ্যাসিড রক্তে মিশে গিয়ে সেতুর কাজ করে। একই বক্তব্য বিশিষ্ট ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ডা. সুভদ্রা চিপলাঙ্কারের। তাঁর দাবি, ক্যান্সার চিকিৎসায় কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপির মতো চিকিৎসার পাশপাশি শারীরিক পরিশ্রমও ক্যান্সার নিরাময়ে সাহায্য করবে। যোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অভিজিৎ ঘোষ জানিয়েছেন, আমেরিকার ‘এমডি অ্যান্ডারসন ক্যানসার রিসার্চ ইনস্টিটিউট’-এর সঙ্গে জোট বেঁধে বেঙ্গালুরুর ‘এস ভাসা’ ২০০২ এই বিষয়ে স্টাডি চালাচ্ছে।