Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- তুচ্ছ কারণে পণ্ড হয়েছিল বিয়ে। চলছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। সেখানে স্রেফ খাবারের অভাবের কারণে বরের বাড়ির লোকজন সেই বিয়ে বন্ধ করে দেয়। বিয়ের আচার যখন একেবারে শেষ মুহূর্তে তখনই বরের আত্মীয়দের আপত্তি জানিয়েছিল। এই কারণেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সেই বিয়ের অনুষ্ঠান। কিন্তু বিয়ে করতে রাজি ছিলেন বর এবং কনে দু’জনেই। তাই হস্তক্ষেপ করে পুলিশ। থানায় ডেকে তাঁদের চার হাত এক করে দেওয়া হয়। এই ঘটনা ঘটেছে গুজরাটের সুরাটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুরাটের ভারাচা এলাকায় লক্ষ্মী হলে বিয়ের আয়োজন করা হয়। বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন রাহুল প্রমোদ মাহতো এবং অঞ্জলি কুমারী। তাঁরা দু’জনেই বিহারের বাসিন্দা। সেই বিয়ের অনুষ্ঠান চলার সময়েই খাবারের ঘাটতি দেখা দেয়। তাতেই চটে যান বরপক্ষের লোকজন। মালাবদলের ঠিক আগেই এই ঘটনা ঘটে। এই নিয়ে বর এবং কনেপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটিও হয়। তাঁদের অপমানিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে ওই বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেন তাঁরা। তার জেরেই বিয়ের আচার সম্পূর্ণ হয়নি। বরপক্ষের এই আচরণে বিরক্ত হয়ে এবং তাঁর পরিবারকে সাহায্য করার জন্য পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন অঞ্জলি। প্রমোদও এই বিয়েতে রাজি ছিল। সব কথা শোনার পরেই তাঁদের চার হাত এক করে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় পুলিশ। রবিবার ভারাচা থানাতেই বসে বিয়ের আসর।
সেখানের ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (ডিসিপি) অলোক কুমার জানান, অঞ্জলি পুলিশের কাছে যাওয়ার পরেই দুটি পরিবারের লোকজনকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে দুই পক্ষই ইতিবাচক মনোভাব দেখায়। দুই পরিবারের মধ্যে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল তাও মিটিয়ে দেওয়া হয়। ডিসিপি বলেন, ‘ওই মহিলার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই আমরা হস্তক্ষেপ করেছিলাম। আলোচনায় দুই পক্ষই এই বিয়ের আচার সম্পূর্ণ করতে রাজি হয়। আমরা এই বিয়ে করতে তাঁদের সাহায্য করেছি। তাই বিয়ের অনুষ্ঠান থানাতেই শেষ করার জন্য আমরা অনুমতি দিয়েছিলাম। থানাতেই তাঁদের মালাবদল হয়।’ এখন দু’জনেই খুশি বলেও জানিয়েছে পুলিশ।’
আরও পড়ুন:- BHEL সংস্থায় নতুন করে প্রচুর কর্মী নিয়োগ চলছে! আবেদন পদ্ধতি সহ বিস্তারিত দেখেনিন
আরও পড়ুন:- আর ভয় নেই ক্যানসারে ! রইল বিশিষ্ট চিকিৎসকের মতামত