গাজায় ৫০ হাজারেরও বেশি জনের মৃত্যু, দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- নতুন করে গাজায় হামলা শুরু করেছে ইজরায়েল। গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার হামলা আক্রমণ চলছে গাজায়। এই হামলায় বহু লোকের মৃত্যু হয়েছে। গাজা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন স্থানীয় সেখানকার বাসিন্দারা।

রবিবার একটি হাসপাতালে বিমান হামলায় হামাস নেতা ও ফিলিস্তিনি চিকিৎসকসহ পাঁচজন নিহত হন। এই হামলার কথা স্বীকার করে নিয়ে ইজরাইল জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর একজন নেতাকে টার্গেট করেছিল। সূত্র মারফত তথ্য পেয়ে তারা এই হামলা চালিয়েছে।

হামাস জানিয়েছে, তাঁদের নেতা ইসমাইল বারহুম এই হামলায় মারা গেছেন। ইজরায়েসলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ তাঁদের টার্গেটের কথা নিশ্চিত করেছেন।

হামাস এর আগে জানিয়েছিল, তাঁদের আর এক নেতা সালাহ আল-বারদাউইল নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী শনিবারও বারদাউইলের হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে।

সূত্রের খবর, বারদাউইল এবং বারহুম দুজনেই হামাসের ১৯ জন  সদস্যের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থার সদস্য ছিলেন। তাঁদের মৃত্যুতে হামাস দুর্বল হবে বলেই মনে করছে ইজরায়েল। গাজায় ফের হামলা চালানো হতে  পারে।

হামাসকে নির্মুল করার লক্ষ্যে ইজরায়েল ঝাঁপালেও তারা সার্বিকভাবে সফল হয়নি। তবে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একজন ইজরায়েলির মৃত্যুর বদলার জন্য নেতানিয়াহুর সেনাবাহিনী ৪২০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। সেই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

আরও পড়ুন:- শুধুমাত্র ইন্টারভিউর মাধ্যমে ভারতীয় রেলে কর্মী নিয়োগ চলছে! আবেদন পদ্ধতি সহ বিস্তারিত দেখেনিন

সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী,গাজায় দেড় বছরের যুদ্ধে শিশু ও মহিলা-সহ ৫০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। ইজরায়েল মঙ্গলবার হামাসের বিরুদ্ধে বিমান ও স্থল হামলা চালায়। প্রায় দুই মাস পরিস্থিতি শান্ত ছিল। তবে মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতি শেষ হয়।

এদিকে হামলার জেরে গাজার মানুষ আবারও পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। রবিবার সকালেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ গাজায় ভারী বোমাবর্ষণ চালায়। নেতানিয়াহুর সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতি শেষ করার সময় গাজায় যে হামলা চালিয়েছিল, সাম্প্রতিক হামলাটি তার চেয়েও বড়।

হামাস যখন ৭ অক্টোবর, ২০২৩ সালে হামাস হামলা চালায় ইজরায়েলে। সেই রকেট হামলায় ১২০০ জন ইজরায়েলি নাগরিক মারা যান বলে দাবি করা হয়েছিসল। প্রায় ৩০০ জনকে পণবন্দী করা হয়েছিল সেই সময়।

অর্থাৎ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একজনের মৃত্যুর জন্য ৪২০০ জনকে নিহত করছে  ইজরায়েল। এই পরিসংখ্যান চমকে ওঠার মতো সেই ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফের জানিয়েছেন, এই যুদ্ধের উদ্দেশ্য হামাসকে ধ্বংস করা। হামাস যাতে আর মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সেই চেষ্টা তাঁরা করছেন। ইজরায়েলের বহু মানুষ এখনও হামাসের হাতে বন্দী রয়েছেন। তাঁদের মুক্ত করার চেষ্টাও চালানো হচ্ছে।

এদিকে বারদাউইলের মৃত্যুর পর হামাসের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘বারদাউইল, তাঁর স্ত্রী এবং অন্য শহিদদের রক্ত আমাদের স্বাধীনতার যুদ্ধে ইন্ধন জোগাবে। শত্রুরা এভাবে আমাদের সংকল্প এবং ইচ্ছাশক্তিকে ভাঙতে পারবে না।’

আরও পড়ুন:- যক্ষ্মা বহু বছর ধরে একটি গুরুতর সমস্যা, এই রোগ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি জেনে নিন

আরও পড়ুন:- জোয়ার-ভাটায় কি সত্যিই বাতের ব্যথা বাড়ে? জানুন বিজ্ঞান কি বলছে

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন