Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, প্রতি বছর আষাঢ় মাসের ৭ তারিখে অম্বুবাচী পালিত হয়। ইংরেজি ২২ জুন তারিখে অম্বুবাচী পালিত হবে। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এই দিনটিই ৭ই আষাঢ়। প্রতি বছর সূর্য আদ্রা নক্ষত্রের প্রথম পর্যায়ে অবস্থান কালে, মিথুন রাশির ৬ ডিগ্রি ৪০ মিনিট থেকে ১০ ডিগ্রি পর্যন্ত সময় ধরিত্রী ঋতুমতী হন। এটিই অম্বুবাচী নামে পরিচিত। ধরিত্রীর ঋতুমতী থাকার সময়কাল তিন দিনের। কোনও শুভ অনুষ্ঠান করা হয় না। অম্বুবাচীতে হাল ধরা, গৃহপ্রবেশ, বিবাহ ইত্যাদি শুভ কাজ নিষিদ্ধ। এমনকি কোনও মন্দিরেও প্রবেশ করা যায় না।
প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী ধরিত্রী ঋতুমতী হন বলেই শস্য শ্যামলা হয়ে ওঠেন। অম্বুবাচীর সময়ে হাল ধরা নিষিদ্ধ। আষাঢ় মাসের এই সময় প্রচণ্ড বৃষ্টি হয়। যার ফলে ধরিত্রী উর্বর হয় ও শস্য-শ্যামলা হতে পারে। কৃষিভিত্তিক ভারতীয় সমাজ গুরুত্ব সহকারে হাল না-ধরার নিষেধাজ্ঞা মেনে চলেন।
অম্বুবাচীর দিনক্ষণ —– আষাঢ়ের ৭ তারিখ অম্বুবাচী।’ সেই অনুযায়ী ১৪২৯ বঙ্গাব্দের ৭ আষাঢ়, ইংরেজি ২২ জুন অম্বুবাতী। রাত ৮টা ১৯ মিনিটে অম্বুবাচী শুরু। রবিবার ১১ আষাঢ় অর্থাৎ ইংরেজি ২৬ জুন সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটে অম্বুবাচী সমাপ্ত।
অম্বুবাচীতে কী করবেন —-
১. দেবী মূর্তি বা পট লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা উচিত।
২. অম্বুবাচী শেষ হওয়ার পর দেবীর আসন পাল্টে, স্নান করিয়ে পুজো দেওয়া উচিত।
৩. গুরুপুজো করা উচিত বলে মনে করা হয়।
৪. অম্বুবাচীতে তুলসীর গাছের গোড়া মাটি দিয়ে উঁচু করে রাখুন।
অম্বুবাচীতে যে কাজ ভুলেও করবেন না —-
১. বৃক্ষ রোপণ, কৃষি কাজে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আবার শুভ কাজ করা থেকেও বিরত থাকতে হবে।
২. মন্ত্রোচ্চারণ ছাড়াই পুজো করুন। ধূপ-প্রদীপ জ্বালিয়ে পুজো করতে হয়।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল