Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- মার্কিন শুল্কের চাপে চিন ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে মরিয়া হয়ে উঠছে। ড্রাগন ভারতের সঙ্গে গভীর অর্থনৈতিক সম্পর্ক শুরু করতে চায়। ভারতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত জু ফেইহং বলেছেন যে চিন আরও প্রিমিয়াম ভারতীয় রফতানিকে স্বাগত জানাচ্ছে এবং তার বিশালবাজারের সুবিধা নেওয়ার জন্য ভারতীয় কোম্পানিগুলিকে সাহায্য করতে তৈরি।
টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফেইয়ং বলেন যে ভারত-চিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্কের মূল কথা হল পারস্পরিক সুবিধা ও সহযোগিতা। চিন কখনই ইচ্ছাকৃতভাবে বাণিজ্য উদ্বৃত্তের পিছনে ছুটতে চায়নি। বাণিজ্য উদ্বৃত্ত বাজারে আপনার শক্তি প্রতিফলিত করে এবং পরিবর্তিত অর্থনৈতিক অবস্থার সঙ্গে বিকশিত হয়। ভারতের জন্য অনেক সুযোগ খুলে যাবে। শি জিনপিংয়ের সাম্প্রতিক ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে চিনা রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন যে চিনে বিশাল বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, চিন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভোক্তা বাজার এবং বৃহত্তম মধ্যম আয়ের শ্রেণির দেশ হওয়ায় বিনিয়োগ এবং ভোগের জন্য বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। চিনের বিশাল বাজার মূল্যায়ন করলে ভারতীয় কোম্পানিগুলির জন্য আরও সুযোগ তৈরি হবে।
আরও পড়ুন:- ২১শে এপ্রিল থেকে রেশন কার্ডের নিয়মে বড় পরিবর্তন। বিপদে পড়তে না হলে জেনে নিন
ভারত থেকে এই জিনিসগুলি আমদানি করতে চায় চিন
২০২৪ অর্থবছরে লঙ্কা, লৌহ আকরিক এবং সুতির সুতোর মতো ভারতীয় পণ্যগুলির চিনে রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যা যথাক্রমে ১৭%, ১৬০% এবং ২৪০% এর বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফেইহং বলেন, ‘আমরা চিনে আরও প্রিমিয়াম ভারতীয় পণ্য রফতানিকে স্বাগত জানাই এবং ভারতের ব্যবসায়িক প্রকিষ্ঠানগুলিকে চিনের বাজার চাহিদার সুযোগ নিতে সাহায্য করতে প্রস্তুত, যার ফলে আমাদের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতার বিশাল সম্ভাবনা উপলব্ধি করা সম্ভব হবে।’
ভারতের কাছে চিনের আবেদন
এদিকে চিনও ভারতের কাছে বাজার প্রবেশাধিকার নিয়ে উদ্বেগ দূর করার আবেদন জানিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি ভারত অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে চিনের উদ্বেগগুলিকে গুরুত্ব সহকারে নেবে এবং চিনা কোম্পানিগুলির জন্য একটি ন্যায্য, স্বচ্ছ এবং বৈষম্যহীন ব্যবসায়িক পরিবেশ দেবে। চিন-ভারত দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া হবে এবং উভয় দেশের জনগণের জন্য সুনির্দিষ্ট সুবিধা বয়ে আনবে।’
ট্রাম্পের চাপের কারণে চিনের সুর বদলে গিয়েছে
চিনের পক্ষ থেকে এমন এক সময়ে এই ধরনের বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে যখন তাদের ৯৯.২ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। এবং ২০২০ সাল থেকে ক্রমাগত দুই দেশের সম্পর্কে শীতলতা জারি রয়েছে। তবুও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন শুল্ক দ্বিগুণ করছে, তখন অর্থনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে বেজিং ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করতে বাধ্য হচ্ছে।
আরও পড়ুন:- ১১ কোটি প্যান কার্ড বাতিল! জানুন প্যান আধার লিংক না করলে কী কী বিপদ হবে?