Bangla News Dunia, Pallab : ছন্দে ফিরছে মুর্শিদাবাদ (Mursidabad situation)। গতকাল থেকেই ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছিল। বুধবার সেই ছবিটা আরও প্রকট হল। খুলেছে দোকানপাট। বাড়ির বাইরে দেখা গিয়েছে বহু মানুষকে বেরোতে। চালু হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। তবে সামশেরগঞ্জে এখনও বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। আপাতত এই এলাকা থেকে উঠছে না ১৬৩ ধারা। এদিন সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত এই ধারা বলবৎ থাকবে।
আরও পড়ুন : স্মার্টফোনের এই ৭ টিপস না জানলে বিপদ, কমতে পারে ডিভাইসের জীবন
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগের থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক সুতি এবং ধুলিয়ান এলাকা। এই দুই এলাকা থেকে নতুন করে অশান্তির খবর না মেলায় সরকারি বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। তবে নজরে রয়েছে সামশেরগঞ্জ। সেখানে বেশকিছু এলাকা থেকে অশান্তির খবর সামনে আসায় বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। এরই পাশাপাশি জঙ্গিপুর সংলগ্ন নবগ্রাম এবং লালগোলা থানা এলাকায় এখনও টহল দিচ্ছে নিরাপত্তাবাহিনী। বেলডাঙা, শক্তিপুর, রেজিনগর, কান্দি এবং নওদা এলাকায় বাড়তি পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যদিকে এদিন জেলা পুলিশ সুপার আনন্দ রায় জানিয়েছেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। নতুন করে কোথাও কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। ঘরছাড়ারা আবার নিজের ঘরে ফিরছেন। আগামী শুক্রবারের মধ্যে সব ঘরছাড়াকে ফিরিয়ে আনা হবে।’
উল্লেখ্য, ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের বেশকিছু এলাকা। আক্রান্ত হয় পুলিশ। ভাঙচুর করা হয় দোকান-বাড়ি। কুপিয়ে খুন করা হয় ৩ জনকে। পুলিশের বিরুদ্ধে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে আধাসেনা মোতায়েন করা হয় উপদ্রুত এলাকায়। কিছুটা দেরিতে হলেও সক্রিয় হয় পুলিশ (Police)। দফায় দফায় বৈঠক করেন পুলিশ আধিকারিক এবং বিএসএফ (BSF) কর্তারা। মঙ্গলবার থেকেই পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। তবুও সামগ্রিক পরিস্থিতির ওপর এখনও পুলিশ এবং বিএসএফের নজর রয়েছে।