Bangla News Dunia, Pallab : আওয়ামী লীগের দালালি করছে সেনাবাহিনী। এমনই অভিযোগে সোচ্চার হয়েছে বাংলাদেশের ছাত্রনেতা হাসনাত আবদুল্লা। ছাত্রনেতার এই মন্তব্যের পর শোরগোল পড়ে যায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে। ছাত্রনেতার এহেন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ সেনা। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন করিয়ে একটি স্থায়ী সরকার ও সংসদ প্রতিষ্ঠায় সেনাবাহিনী যাতে সক্রিয় হয়, সে বিষয়ে সেনাপ্রধানকে পরামর্শ দিয়েছেন সেনাকর্তারা।
আরও পড়ুন : প্রচন্ড গরমে রোদ লেগে মাথা যন্ত্রণা ? দ্রুত মুক্তি দেবে হোমিওপ্যাথি ওষুধ
সম্প্রতি ছাত্রনেতা হাসনাত আবদুল্লা ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, আওয়ামী লীগের দালালি করছে সেনাবাহিনীর একাংশ। হাসনাতের এই পোস্টের সঙ্গে সহমত পোষণ করেননি আরও এক ছাত্রনেতা সার্জিস আলম। সার্জিস আলম রবিবার ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানান, তিনিও হাসনাতের সঙ্গী হিসাবে সেনাপ্রধানের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। কিন্তু হাসনাতের বক্তব্যের সঙ্গে তিনি একমত নন। সেনাপ্রধান ওয়াকার কোনও কিছু মেনে নেওয়ার জন্য আদৌ তাঁদের চাপ দেননি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে ছাত্রনেতা হাসনাত আবদুল্লার মন্তব্য হাস্যকর ও অপরিপক্ক বলে সংবাদমাধ্যমের কাছে বিবৃতি দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ জামান।
রবিবার এই বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ জামান। এ দিনের বৈঠকে হয় সামনাসামনি অথবা ভার্চুয়ালি। বৈঠকে ছিলেন নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান সহ সব জিওসি। এদিনের বৈঠকে প্রায় প্রত্যেক সেনা কর্তাই হাসনাতের মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ সেনার ভাবমূর্তি ফেরাতে আরও বেশি সক্রিয় হওয়ার পক্ষে মত দেন বৈঠকে উপস্থিত প্রত্যেকেই।
হাসিনার পতনের পর ছাত্রনেতাদের ডেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছিল সেনাবাহিনী। আর ছাত্রনেতারাই বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সম্পর্কে একের পর এক বিরূপ মন্তব্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট করছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এর আগেও প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ডাকা একটি বৈঠকে ছাত্রনেতাদের ‘বেআদব কথাবার্তা’ নিয়ে কয়েক জন সেনাকর্তা আপত্তি জানিয়ে এসেছিলেন। সেনাকর্তাদের অনেকেই বলেন— অনেক হয়েছে। এ বার সেনাবাহিনীকে নিজেদের ক্ষমতা ও শক্তি প্রদর্শন করতে দেওয়া হোক।
সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফেসবুকে ছাত্রনেতা হাসনাত আবদুল্লা সেনাবাহিনী সম্পর্কে যে সব অভিযোগ তুলেছেন, তা ‘অপরিপক্ক গল্পের সম্ভার’। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার ছাত্রনেতাদের ডেকে পাঠাননি, বরং তাঁরাই অ্যাপয়েন্টমেন্ট করে জেনারেলের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। কেউ ছাত্রদের কোনও কিছু চাপিয়ে দেননি। মানতে বাধ্য করার জন্য ধমকও দেননি। অত্যন্ত আন্তরিক ভাবে সেনাপ্রধান ছাত্রনেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল।
আরও পড়ুন : ৮ ঘণ্টার জায়গায় ৬ ঘণ্টা ! রাজ্যের এই কর্মীদের ডিউটির সময় কমিয়ে আনলো নবান্ন