ছাত্রী খুনে উত্তাল রামপুরহাট, তৃণমূল নেতার ভূমিকা নিয়ে সরব আদিবাসীরা

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট: ছাত্রী খুনে তৃণমূল নেতা রবিন সোরেনের ভূমিকা নিয়ে গর্জে উঠল বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠন। সেই সঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষকের ফাঁসি চেয়ে স্বাক্ষর সংগ্রহ করেন আদিবাসী সংগঠনের নেতারা। আগামীতে এই ইস্যুতে নবান্ন অভিযানের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে আদিবাসী সংগঠনগুলি।

প্রসঙ্গত, ২৮ অগাস্ট গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। পরিবারের তরফে রামপুরহাট থানায় (Rampurhat Police Station) নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। কিন্তু ১৯ দিন ধরে তার খোঁজ মেলেনি। পরে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন স্কুলের শিক্ষক মেয়েকে অপহরণ করেছে। বিষয়টি পুলিশে জানালে রামপুরহাট থানার পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে। ১৬ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে রামপুরহাট থানা এলাকায় একটি সেচখাল থেকে নাবালিকার পচাগলা দেহের একাংশ উদ্ধার করে রামপুরহাট থানার পুলিশ। এখনও কোমরের নীচের অংশ এবং দুটি পায়ের খোঁজ মেলেনি। তারই মধ্যে তড়িঘড়ি ২৬ সেপ্টেম্বর খুনের চার্জশিট জমা দেওয়া হয় রামপুরহাট মহকুমা আদালতে।

এদিকে ছাত্রী খুনে এদিন দোষীর ফাঁসির দাবিতে আদিবাসীদের মিছিল বের হয় রামপুরহাটে (Rampurhat)। সপ্তাহের ব্যস্ততম দিনে হাজার হাজার আদিবাসীদের মিছিলে স্তব্ধ হয়ে যায় রামপুরহাট। বিচার না পেলে নবান্ন অভিযানের কথা জানিয়েছেন আদিবাসী সংগঠনের নেতারা। এদিন তীর-ধনুক নিয়ে ধামসা মাদল বাজিয়ে মিছিল করেন তাঁরা। এদিকে খুনের ঘটনার পর পুলিশের প্রতি আস্থা প্রকাশ করে ছাত্রীর মা-বাবার একটি ভিডিও বার্তা নিয়ে গর্জে ওঠেন আন্দোলনরতরা। তাঁদের দাবি, তৃণমূল নেতা রবিন সোরেন ভয় দেখিয়ে ওই কথা বলিয়ে নিয়েছে ছাত্রীর বাবা-মায়ের কাছে থেকে। প্রকাশ্যে মাইক হাতে তাঁকে বীরভূম ছাড়ার হুমকি দেন আদিবাসী নেতারা। যদিও এবিষয়ে রবিন সোরেনকে ফোন করলেও ফোন না তোলায় তাঁর কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী অধিকার মঞ্চের সম্পাদক পুলীন বিহারী বাস্কে বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত পুলিশ ছাত্রীর দেহের একাংশ উদ্ধার করতে পারেনি। ফলে আমাদের মনে পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আমরা চাই অবিলম্বে অভিযুক্ত শিক্ষকের ফাঁসি দিতে হবে। সেই সঙ্গে অভিযুক্তকে শাসকদলের যাঁরা থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে এসেছিল তাঁদেরও শাস্তি দিতে হবে। আমরা বিচার না পেলে নবান্ন ঘেরাও করে পুলিশ মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করব। আগামী ১৫ অক্টোবর জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইব। তাতেও সন্তুষ্ট না হলে আদিবাসীদের নিয়ে রাজপথে হাঁটব।’

তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘মায়ের থেকে মাসির দরদ বেশি মনে হচ্ছে। যাঁদের মেয়ে মারা গিয়েছে তাঁরা পুলিশের কাজে খুশি। অথচ কিছু আদিবাসী সংগঠন ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে বীরভূমকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে।’

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন