জল ছাড়াই মাসের পর মাস বেঁচে থাকে এই প্রাণীগুলি, দেখে নিন একনজরে

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বেঁচে থাকার জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান জল। জল ছাড়া বেশিরভাগ প্রাণীর পক্ষে বেশি দিন টিকে থাকা সম্ভব নয়। তবে এমন কিছু প্রাণী রয়েছে বিশ্বে, যারা এক ফোঁটা জল পান না করেও মাসের পর মাস বেঁচে থাকতে পারে। এই প্রাণীরা পৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক অঞ্চলেও খুব সহজেই টিকে থাকতে পারে।

উট

উটকে মরুভূমির জাহাজ বলা হয়। কারণ উট জল ছাড়া দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে পারে। এদের কুঁজে জল নয়, বরং চর্বি জমা থাকে। কিন্তু এই চর্বি প্রয়োজন অনুসারে শক্তি ও জলে রূপান্তরিত হতে পারে। তাপমাত্রা এবং খাবারের প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে উট কয়েক সপ্তাহ, এমনকী কয়েক মাস পর্যন্ত জল ছাড়া থাকতে পারে। জল পেলে এরা একবারে প্রায় ১৫০ লিটার পর্যন্ত জল পান করতে পারে।

জিরাফ

আফ্রিকার সাভানা অঞ্চলে জিরাফ বাস করে, যেখানে জল খুঁজে পাওয়া কঠিন। এরা কয়েক সপ্তাহ জল পান না করেও বেঁচে থাকতে পারে। কারণ এরা তাদের প্রয়োজনীয় জলের বেশিরভাগটাই তাজা পাতা, বিশেষ করে বাবলা গাছের পাতা থেকে পায়।

কচ্ছপ

যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর মরুভূমিতে পাওয়া যায় এই কচ্ছপ। এরা মূত্রথলিতে কয়েক মাস ধরে জল জমা করে রাখতে পারে। বৃষ্টির সময়ে এরা প্রচুর পরিমাণে জল পান করে এবং শুষ্ক সময়ে সেই জল ধীরে ধীরে ব্যবহার করে। জল সংরক্ষণের জন্য এরা দিনের বেশিরভাগ সময় মাটির নীচে গর্তে থাকে, যেখানে তাপমাত্রা কম থাকে।

শুশুক (Thorny Devil Lizard)

অস্ট্রেলীয় শুশুকের ত্বকে সূক্ষ্ম খাঁজ থাকে, যা শিশির, বৃষ্টি বা ভেজা বালির আর্দ্রতা শোষণ করে সরাসরি শরীরে জলের চাহিদা মেটায়। এরা সরাসরি জল পান না করে অত্যন্ত শুষ্ক মরুভূমিতে দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে পারে।

ক্যাঙ্গারু ইঁদুর

উত্তর আমেরিকার মরুভূমিতে বাস করা এই প্রাণী জীবনের কখনই জল পান করে না। ক্যাঙ্গারু ইঁদুরের প্রয়োজনীয় সমস্ত জল আসে শুকনো বীজ ও গাছপালা থেকে। এদের শরীর এমন ভাবে তৈরি, যে এরা আর্দ্রতা সংরক্ষণ করতে পারে সহজেই।

উটপাখি

পৃথিবীর বৃহত্তম পাখি উটপাখি মূলত আফ্রিকা ও সাভানার মরুভূমিতে বাস করে। এরা কয়েক দিন বা সপ্তাহ পর্যন্ত জল ছাড়া থাকতে পারে। কারণ এরা প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা বীজ, গাছপালা এবং পোকামাকড় থেকে পায়।

আফ্রিকান হাতি

আফ্রিকান হাতি তাদের বিশাল আকারের জন্য পরিচিত হলেও, এরা কয়েক দিন জল পান না করেও বাঁচতে পারে। তারা মূলত ঘাস, ফল এবং অন্যান্য গাছপালা থেকে আর্দ্রতা পায়। হাতিরা এতই বুদ্ধিমান যে তারা শুকনো নদীর তলদেশে গর্ত খুঁড়ে মাটির নীচে থাকা জল খুঁজে বের করতে পারে।

আরও পড়ুন:- মাত্র ১২ টাকায় পাবেন ৩ লাখ টাকার সুবিধা। দুর্দান্ত স্কিম চালু করলো এই ব্যাংক

আরও পড়ুন:- ‘গুজরাত ফাইলস করার দম হল না ?’ বিবেককে তোপ কুণালের

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন