Bangla News Dunia, Pallab : দেশের নিরাপত্তার জন্য পেগাসাস ব্যবহার দোষের নয়, মঙ্গলবার এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। মূলত পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Attack) পর জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে আরও সতর্ক থাকতে ব্যবহার করা যেতেই পারে পেগাসাসের মতো স্পাইওয়্যার। তবে যে তথ্য উঠে আসবে তা নিরাপত্তার স্বার্থে বাইরে প্রকাশ করা যাবে না বলেই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত (Supreme court)। স্বাভাবিকভাবেই সুপ্রিম কোর্টের এই মন্তব্য স্বস্তিতে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন : ওষুধ ছাড়াই অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে চান? জেনে নিন ঘরোয়া উপায়
পেগাসাস স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে যে কোনও ব্যক্তির মোবাইল ফোনে মেসেজ, ইমেল এবং ছবি সবটাই জানা সম্ভব। এমনকী ওই ব্যক্তির লোকেশনও ট্র্যাক করা যায় ও ফোনকলে আড়ি পাতা যায়। শুধু তাই নয় অত্যন্ত শক্তিশালী এই স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে ওই ব্যক্তির অজান্তে তাঁর ফোন ক্যামেরায় ছবি তোলা বা ভিডিও করা যায়। ২০২১ সালে পেগাসাস নিয়ে উত্তাল হয়েছিল জাতীয় রাজনীতি। কেননা সেই সময় এক সংবাদ মাধ্যমে দাবি করা হয়েছিল, পেগাসাস ব্যবহার করে দেশের প্রথম সারির রাজনৈতিক ব্যক্তিদের উপর নজরদারি চালাচ্ছে কেন্দ্র। সেই তালিকায় নাম ছিল রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi), অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee), প্রশান্ত কিশোর সহ আরও অনেকে। এই অভিযোগে খানিক কোণঠাসা ছিল কেন্দ্র।
এদিন, কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা প্রশ্ন করেন, ‘জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পেগাসাস ব্যবহারে কী সমস্যা? জঙ্গিদের আবার গোপনীয়তার অধিকার আছে নাকি?’ এই প্রশ্নের পর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংয়ের বেঞ্চ জানায়, ‘বর্তমানে আমরা যে অবস্থার মধ্যে রয়েছি, তাতে আমাদের খুব সতর্ক থাকতে হবে। স্পাইওয়্যার ব্যবহারে কোনও সমস্যা নেই। দেশের নিরাপত্তা নিয়ে আপোস করা যায় না। তবে হ্যাঁ, প্রশ্ন উঠতে পারে যে এই সফটওয়্যার কাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার হচ্ছে। যদি আমজনতা বা কোনও বিশিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে সফটওয়্যার ব্যবহার হয় তাহলে অবশ্যই সেটা খতিয়ে দেখা হবে। তবে পেগাস্যাস সংক্রান্ত কোনও রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা যাবে না। কারণ তার সঙ্গে দেশের সুরক্ষা জড়িত। তবে ব্যক্তিগতভাবে কেউ যদি জানতে চান তিনি নজরদারির আওতায় পড়ছেন কিনা, সেটা জানিয়ে দেওয়া হবে।’ এদিনের সুপ্রিম মন্তব্যে নিঃসন্দেহে স্বস্তি পেল কেন্দ্র।
আরো পড়ুন : কখন “টিউমার’ ক্যান্সারে পরিনত হয় ? জানুন সঠিক তথ্য