Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : কৃষ্ণ পক্ষের নবমী তিথিতে হয় পুজোর বোধন। ষষ্ঠী অবধি এই বাড়িতে চণ্ডী পাঠের ধ্বণী উচ্চারিত হয় এই বাড়িতে। উত্তর কলকাতার অন্যতম এক বনেদি বাড়ির পুজো শোভাবাজার রাজবাড়ি। রাজা নবকৃষ্ণ দেব ১৭৫৭ সালে এই পুজোর সূচনা করেন।
বর্তমানে এই পুজো পালন করা হয় সেই সাবেকি রীতি মেনেই। শোভাবাজার রাজবাড়ির এই পুজো ২৩০ বছরে পদার্পণ করল। বাড়িতে পুজোর জন্য শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস উপস্থিত হয়েছিলেন। তিনি টানা ৯০ দিন এই বাড়িতে পুজো করেছিলেন। উত্তর কলকাতার রাজা নবকৃষ্ণ স্ট্রিটে অবস্থিত এই শোভাবাজার রাজবাড়ি। পলাশীর যুদ্ধের পর রবার্ট ক্লাইভ, এই রাজবাড়িতে দুর্গাপুজোর সূচণা করেন।
রাজবাড়ির দেবীমূর্তির রয়েছে একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য। মা দুর্গা বৈষ্ণবী রূপে পূজিত হন। অন্নভোগ হিসেবে গোটা আনাজ, গোটা ফল, চাল, মতিচুর, গজা সহ বাড়িতে বানানো ৩৩ রকমের মিষ্টান্ন ভোগ দেওয়া হয়। কামানের তোপ দেগে সেই যুগে শুরু হত সন্ধিপুজো। রাজা নবকৃষ্ণ দেব, উল্টোরথের দিন করতেন কাঠামো পুজো। এক রূপোর কারুকাজ করা সোনার সিংহাসনে মা দুর্গাকে বসানো হত। রাজবাড়িরতে পশুবলির নিয়মেরও চল ছিল। দশমীর দিন নীলকন্ঠ পাখি উড়িয়ে পালন করা হত দশমীর রীতি।
তবে বর্তমানে সেই সময়ের অনেক রীতিই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শোলার নীলকন্ঠ পাখি বানিয়ে গ্যাস বেলুনের সাহায্যে তা উড়িয়ে বা মাটির পাখি বানিয়ে গঙ্গায় ভাসিয়ে পালন করা হয় পুজোর নিয়ম। নীলকন্ঠ পাখি উড়িয়ে মহাদেবকে মায়ের রওনা হওয়ার খবর দেওয়ার জন্যই পালন করা হয় এই রীতি।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল