উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী (1st Woman PM) পেতে চলেছে জাপান (Japan)। শনিবার সে দেশের শাসকদল ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (LDP) নতুন নেত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সানায়ে তাকাইচি (Sanae Takaichi)। ৬৪ বছর বয়সি তাকাইচি শাসকদলের অন্যতম কট্টরপন্থী সদস্য হিসেবেই পরিচিত।
সম্প্রতি জাপানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান শিগেরু ইশিবা। গত জুলাইয়ে জাপান পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পরই প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। বিরোধীদের পাশাপাশি দলের মধ্যেও তাঁর পদত্যাগের দাবি উঠছিল। এমনকি প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার আগে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট পদ থেকেও সরে দাঁড়ান ইশিবা। এরপরই এলডিপি-র নবনির্বাচিত নেত্রী হলেন সানায়ে তাকাইচি। এরপর অক্টোবরের মাঝামাঝিতে সংসদে তাঁর প্রধানমন্ত্রী পদে আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের ভোট হবে। তবে ক্ষমতাসীন জোটের সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় তাকাইচির জয় প্রায় নিশ্চিত ধরা হচ্ছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পরই বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে তাঁকে। দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটানোর পাশাপাশি বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ হিসেবে জাপানের অর্থনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখার দিকে নজর দিতে হবে তাঁকে।
তবে শোনা যাচ্ছে, তাকাইচি প্রধানমন্ত্রী হলে জাপানের মহিলারাই বরং খুব একটা খুশি হবেন না। কারণ অতীতে জাপানে মহিলাদের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। ‘পুরুষতান্ত্রিক’ বলেই পরিচিত তাকাইচি। তাছাড়াও দলের পুরুষ শীর্ষনেতাদের প্রতিই বেশি অনুগত তিনি। ফলে তাকাইচি প্রধানমন্ত্রী হলে মহিলাদের অধিকারের লড়াই, উন্নয়ন সংক্রান্ত বিল বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
উল্লেখ্য, কলেজে পড়ার সময় মেটাল ব্যান্ডের ড্রামার হিসেবে কাজ করতেন সানায়ে তাকাইচি। বাইকে চেপে সফরও করতেন। প্রয়াত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার হলেন রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তাকাইচির রোল মডেল। বিভিন্ন সময়ে জাপানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা মন্ত্রী সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনও করেছেন তাকাইচি।














