Bangla News Dunia, দীনেশ :- ধনকুবের ইলন মাস্ক শুধু রকেট বা রোবট নিয়েই ভাবেন না, তিনি ভাবেন ‘সন্তান বিপ্লব’ নিয়েও। ‘লেজিয়ন’ বা বিশাল এক সন্তানের দল গড়ার লক্ষ্যে তিনি নাকি একের পর এক সন্তানের বাবা হচ্ছেন, এমনটাই দাবি মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের।
রিপোর্ট অনুযায়ী, মাস্ক ইতিমধ্যে বাবা হয়েছেন অন্তত ১৪ জন সন্তানের। এ ব্যাপারে তাঁকে সাহায্য করেছেন চার মহিলা—কনজারভেটিভ ইনফ্লুয়েন্সার অ্যাশলে সেন্ট ক্লেয়ার, গায়িকা গ্রাইমস, নিউরালিঙ্ক কর্মকর্তা শিভন জিলিস ও প্রাক্তন স্ত্রী জাস্টিন মাস্ক। তবে ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলির দাবি, আসল সংখ্যাটা আরও বেশি হতে পারে।
আরও পড়ুন:- ২১শে এপ্রিল থেকে রেশন কার্ডের নিয়মে বড় পরিবর্তন। বিপদে পড়তে না হলে জেনে নিন
রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, জাপানের এক প্রভাবশালী মহিলার অনুরোধে নিজের শুক্রাণু পাঠিয়েছেন তাঁকে! উদ্দেশ্য একটিই—মানবজাতির ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখতে বেশি করে ‘বুদ্ধিমান’ সন্তানের জন্ম দেওয়া। মাস্কের কথায়, ‘লেজিয়ন লেভেলে পৌঁছোতে হবে অ্যাপোক্যালিপ্সের আগেই।’
২৬ বছর বয়সি অ্যাশলে সেন্ট ক্লেয়ার বলেছেন, মাস্ক তাঁকে নাকি সরাসরি বার্তা পাঠিয়ে বলেছেন, ‘তোমায় আবার গর্ভবতী করতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, মাস্ক সারোগেট মাদার ব্যবহারের কথাও বলেছিলেন, যাতে দ্রুত ‘সন্তান দল’ তৈরি করা যায়।
আরও পড়ুন:- ১১ কোটি প্যান কার্ড বাতিল! জানুন প্যান আধার লিংক না করলে কী কী বিপদ হবে?
সেন্ট ক্লেয়ার দাবি করেছেন, সন্তান প্রসবের সময় মাস্কের ঘনিষ্ঠ সহকারী জ্যারেড বারচাল তাঁকে দেড় কোটি ডলার ও প্রতি মাসে ১ লক্ষ ডলারের প্রস্তাব দেন। শর্ত ছিল, গোটা ব্যাপারটা গোপন রাখতে হবে। জন্মদাতার পরিচয় ফাঁস করা যাবে না। তিনি এই চুক্তিতে রাজি না হলেও শুরুতে মাস্কের নাম ছাড়াই কাগজপত্র জমা দেন। পরে ফেব্রুয়ারিতে সম্পর্ক প্রকাশ্যে আনলে তাঁর মাসিক ভাতা ৪০ হাজার থেকে কমে ২০ হাজারে নেমে আসে।
অনেক মহিলাই বলেছেন, টাকার জোরে ও কড়া গোপনীয়তার চুক্তির মাধ্যমে পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখেন মাস্ক। একে কেউ কেউ বলেছেন ‘হ্যারেম ড্রামা’। মাস্কের সহকারী বারচাল বলেছেন, এ এক ধরনের ‘মেরিটোক্রেসি’, যেখানে ‘ভালো কাজ করলে’ই পুরস্কার পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন:- রোজ সকালে নিমপাতা চিবিয়ে খেলে কী হয়? জানলে অবাক হবেন
একেবারে উলটো কথা বলেছেন মাস্কের তিন-তিনটি সন্তানের জননী গ্রাইমস। তিনি জানিয়েছেন, ‘বুদ্ধিমান শিশু’র জন্মদানের স্বপ্নে বিভোর মার্কিন ধনকুবেরের খেয়ালের শিকার হয়ে কার্যত সর্বস্বান্ত হতে হয়েছে তাঁকে। ‘কাস্টডি লড়াই’ তাঁর জীবন শেষ করে দিয়েছে।