জামাইবাবুর হাতে খুন শ্যালক, নেপথ্যে পরকীয়া নাকি ব্যবসা, ধোঁয়াশায় পুলিশ  

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

Bangla News Dunia, দীনেশ :- শ্যালক তাঁর গবাদি পশুর ব্যবসায় সঙ্গী করেনি জামাইবাবুকে। আর সেকারণে শ্যালকের স্ত্রীকে হাতিয়ার করে শ্যালককেই পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিলেন জামাইবাবু। এই হত্যার পিছনে মৃতের স্ত্রীরও হাত থাকতে পারে বলে পুলিশের সন্দেহ। ব্যবসায়ী খুনের ৯ দিনের মাথায় রহস্য উন্মোচন করে কিশনগঞ্জ থানার পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডে পুলিশ মৃতের জামাইবাবু ও আরও এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।

আরও পড়ুন:- জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অফিসে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ চলছে! কিভাবে আবেদন করবেন দেখেনিন

ঘটনাটি আজ থেকে ৯ দিন আগের। গত ১৮ মার্চ কিশনগঞ্জের জাগ্গিদিঘি গ্রামের পাকা রাস্তার ধারে এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। পরে পুলিশ জানতে পারে মৃত ব্যাক্তি জাগ্গিদিঘি গ্রামের বাসিন্দা জসপাল। সে পেশায় গবাদি পশু ব্যবসায়ী। দেহ উদ্ধারের পর দিনই হত্যার ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের স্ত্রী। এরপরেই তদন্তে নামে কোচাধামন থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশের সন্দেহের তালিকায় চলে আসে মৃতের জামাইবাবু মোহন কুমার দাস (৪১)ও সন্নি কুমার দাস (২৪)নামে আরও এক যুবক। এই দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তাঁরা পুলিশের কাছে জসপালকে খুনের ঘটনা স্বীকার করেন।

আরও পড়ুন:- ওষুধ ছাড়াই প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া পদ্ধতিতে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় জেনে নিন

পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, ঘটনার দিন মোহন গ্রামের কোনও এক জায়গায় ডেকে নেন শ্যালক জসপালকে। সেখানে বসে মোহন, জসপাল ও সন্নি আকণ্ঠ মদ্যপান করেন। অভিযোগ, সেই সময়ই জসপালকে স্বাসরোধ করে হত্যা করেন তাঁরা। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারাল অস্ত্র দিয়ে জসপালের গলা ও শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত করে। মৃত্যুর পরে গ্রামেরই একটি কালভার্টের নীচে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

আরও পড়ুন:- এই ‘ছোট্ট’ ভুলে প্রতিমাসে বাড়ছে ইলেকট্রিক বিল! সমাধান জেনে নিন

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, মৃতের স্ত্রীর সঙ্গে মূল অভিযুক্ত মোহনের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। ব্যবসা নাকি পরকীয়া, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় পুলিশ। জসপাল হত্যাকাণ্ডে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হলেও সন্দেহভাজন মৃতের স্ত্রীকে কেন আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করল না পুলিশ, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

 

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন