জিবলি আর্ট কী? AI জেনারেটেড ভাইরাল ছবি কেন বাড়াচ্ছে কপিরাইটের চিন্তা?

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- গত ২দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ছেয়ে গিয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি এক ধরনের অ্যানিম্যাটিক ছবি। বলিউডের জনপ্রিয় সিনেমার দৃশ্য থেকে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিক জীবনের বিভিন্ন ছবিকে অ্যানিমেশনের আদলে নতুন ভাবে বানিয়ে দিয়েছে চ্যাটজিপিটি-র নতুন ভার্সন। এই ধরনের অ্যানিমেশনের নাম জিবলি স্টাইল। যা নিয়েই মেতে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীরা। জিবলি স্টাইল কী জানেন?

স্টুডিয়ো জিবলি আর্ট কী?

স্টুডিয়ো জিবলি হলো জাপানের অ্যানিমেশন ফিল্ম স্টুডিয়ো। ১৯৮৫ সালে তা তৈরি হয়েছিল। হায়াও মিয়াজ়াকি, ইসাও তাকাহাটা এবং তোশিও সুজ়ুকি তা তৈরি করেছিলেন। অ্যানিমেশন চরিত্রের এই ধারা হাতে এঁকেই তৈরি করা হয়েছিল। এই ধরনের অ্যানিমেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন গল্প বলা হতো। অ্যানিমেশনের এই ধরনকেই বলা হয় জিবলি আর্ট। এই ধরনের অ্যানিমেশনের মাধ্যমে ‘মাই নেবার টোটোরো’, ‘স্পিরিটেড অ্যাওয়ে’, ‘কিকিস ডেলিভারি সার্ভিস’-এর মতো একাধিক জনপ্রিয় সিনেমা তৈরি হয়েছে।

সম্প্রতি ওপেন এআই এনেছে GPT-4o ভার্সন। সেই ভার্সনেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের মাধ্যমে তৈরি করা যাচ্ছে জিবলি স্টাইলের ছবি। ওপেনআই-এর কর্তা স্যাম অল্টম্যানও ঘিবলি স্টাইলের ছবি দিয়েছেন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের ডিপি-তে। এর পর থেকে এই ধরনের ছবিতে ছেয়ে গিয়েছে বিভিন্ন মাধ্যম। কিন্তু এই আবহেই মাথাচাড়া দিচ্ছে একটি প্রশ্ন। তা হলো কপিরাইট কনসার্ন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আবহে কোনও শিল্পীর তাঁর নিজের সৃষ্টির কপিরাইট কী ভাবে রক্ষা করা যাবে, সেই প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।

আরও পড়ুন:- JEE Mains এর অ্যাডমিট কার্ড ছাড়া হল, এই লিংক থেকে ডাউনলোড করুন

মিয়াজ়াকি নিজের হাতে যা সৃষ্টি করছিলেন, তাই নকল করে দিচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মডেল। এই মডেল তৈরির আগে ওপেন এআই জিবলি স্টুডিয়োর থেকে আদৌ অনুমতি নিয়েছে কি না, সে প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে। যদিও এ ব্যাপারে ঘিবলি স্টুডিয় এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেয়নি। ওপেন এআই-ও এ বিষয়ে সংবাদ সংস্থার প্রশ্নের উত্তর দেয়নি। তবে এই আবহে জিবলির সৃষ্টিকর্তা মিয়াজ়াকির অতীতে বলা কিছু কথা ফের সামনে এসেছে।

২০১৬ সালে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি অ্যানিমেশনকে ‘ইনসাল্ট টু লাইফ ইটসেল্ফ’ বলেছিলেন মিয়াজ়াকি। এই কথার মাধ্যমে এআই-এর তৈরি অ্যানিমেশন নিয়ে নিজের অসন্তোষই ব্যক্ত করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, এই প্রযুক্তিকে নিজের সৃষ্টিতে অন্তর্ভুক্ত করতে চান না তিনি। এ নিয়ে বলেছিলেন, ‘আমি এ সব দেখতে পারি না। একে আকর্ষণীয় বলে মনে করি না। যে এই জিনিসটি তৈরি করে সে জানে না এর পিছনে কতটা ব্যথা ছিল। আমি একেবারেই বিরক্ত। আপনি যদি সত্যিই ভীতিকর জিনিস তৈরি করতে চান, তাহলে আপনি এগিয়ে গিয়ে তা করতে পারেন। আমি কখনই এই প্রযুক্তিটি আমার কাজে অন্তর্ভুক্ত করতে চাই না। আমি দৃঢ়ভাবে মনে করি, এটি জীবনেরই অপমান।’

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন