Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : প্রাচীন ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দার্শনিক এবং অর্থনীতিবিদ চাণক্য বা কৌটিল্য। চাণক্য ‘অর্থশাস্ত্র’ রচনা করেছিলেন। মানব জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে এমন প্রতিটি বিষয় খুব গভীর ভাবে অধ্যয়ন করেছিলেন তিনি। এই কারণে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের উপদেষ্টা চাণক্যের নীতি গুলি আজও প্রাসঙ্গিক। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে পণ্ডিত ছিলেন। মহান পণ্ডিত হওয়ার পাশাপাশি তিনি দক্ষ কূটনীতিক হিসাবেও বিবেচিত হন। চাণক্যের নীতিশাস্ত্র জীবন সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা এবং তার সমাধান গুলিতে আলোকপাত করে। চাণক্যের নীতিগুলি জীবনকে সফল করে তুলতে অনুপ্রেরণা দেয়।
একজন ব্যক্তির জীবনে অর্থের বিশেষ তাৎপর্য ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কী ভাবে অর্থের ব্যবহার বা সঞ্চয় করা উচিত, সে সম্পর্কে আচার্য চাণক্য নীতিমালায় ব্যাখ্যা করেছেন। অর্থ খুব সাবধানতার সঙ্গে ব্যবহার করা উচিত। যাঁরা প্রয়োজন ছাড়া অর্থ ব্যয় করেন, দুঃসময়ে তাঁদের সমস্যায় পড়তে হয়। অর্থ সাশ্রয়ের অভ্যাস সুন্দর ভবিষ্যতের ভিত্তি।
আচার্য চাণক্যের মতে, অর্থ সাশ্রয় একটি শিল্প। যে ব্যক্তি শিল্পটি শিখেছেন, তাঁর জীবন সুখ এবং শান্তিতে পূর্ণ। বুদ্ধিমান মানুষ তিনি সঙ্কটকালের জন্য অর্থ সঞ্চয় করে রাখেন। তাঁর মতে, আয়ের চেয়ে বেশি ব্যয় করা উচিত নয়। যে ব্যক্তি তাঁর আয়ের চেয়ে বেশি ব্যয় করেন, তিনি ভবিষ্যতে মারাত্মক সমস্যার মুখোমুখি হন।
কৌটিল্যের মতে, সঙ্কটকালে অর্থ অত্যন্ত কার্যকর। বিপর্যয়কালে অর্থ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের সব সময় ভবিষ্যতের কথা ভেবে অর্থ সাশ্রয় করা উচিত। যে ব্যক্তি ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করেন না, তাঁর জীবনে সঙ্কটের মেঘ সর্বদা আচ্ছন্ন হয়ে থাকে।
ঠিক যতটুকু অর্থের প্রয়োজন, তত টুকুই ব্যয় করা উচিত। স্বল্প বিনিয়োগ করে অর্থ ভবিষ্যতের কথা ভেবে সঞ্চয় করে রাখা জরুরি। সম্পদ জমানোর প্রবণতা শুরু থেকেই সন্তানের মধ্যে গড়ে তোলা উচিত।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল