জেনে নিন ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ, কারণ এবং আধুনিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা পদ্ধতি।

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Updated on:

 

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- মশাবাহিত যে রোগ গুলি হয় তার মধ্যে একটি হল ডেঙ্গু জ্বর। বর্ষাকালে এছাড়া গরমের সময়ও মশার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেলে এই রোগ বেশি আকারে ছড়িয়ে পড়ে। এই ডেঙ্গু জ্বর হয় যদি এডিস মশা (Aedes Mosquito) দ্বারা সংক্রামিত একটি ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করে, তখন প্রথম দিকে জ্বরের মতন লক্ষণ প্রকাশ পায় এছাড়াও ধীরে ধীরে আরও কিছু লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে।

ডেঙ্গু জ্বর কিভাবে শনাক্ত করবেন?

ম্যালেরিয়ার মতনই লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায় বলে প্রথম দিকে এই রোগ নির্ণয় করায় একটু সমস্যার হয়ে দাঁড়ায়। এই জ্বরের কারণে প্রতি বছর বিশ্ব ব্যাপী ৪০০ মিলিয়ন বা ৪ কোটির বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়। আজকের এই প্রতিবেদনে ডেঙ্গু জ্বরের কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা এবং প্রতিকারের উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। আশা করি এই প্রতিবেদনটি গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।

How to Prevent Dengue Fever ASAP?

ডেঙ্গু জ্বরের কারণ :- ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত একটি ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে, যেটি Flaviviridae পরিবারের অন্তর্গত। ভাইরাসটি প্রাথমিকভাবে সংক্রামিত এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে, এডিস ইজিপ্টি এবং এডিস অ্যালবোপিক্টাসের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছড়ায়। যখন এই এডিস মশা যদি ডেঙ্গু ভাইরাসের আক্রান্ত ব্যক্তিকে কামড়ানোর পরে কোন সুস্থ ব্যক্তিকে কামড়ায় তাহলে সে সুস্থ ব্যক্তিও ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির দেহে ডেঙ্গু ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে না যদি না মশা হোস্ট হিসাবে সংক্রমণ ছড়ানোর কাজটি করে।

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ জেনে সতর্ক হন

ডেঙ্গুর লক্ষণ গুলি সংক্রমণের 4 – 6 দিন পরে দেখা যায়, 10 – 12 দিন স্থায়ী হয়। এর মধ্যে রয়েছে :- হঠাৎ শুরু মাত্রাতিরিক্ত জ্বর, মাথা ঝাঁকানি, চোখের পিছনে ব্যথা, সংযোগে ব্যথা, পেশী ব্যথা, শরীরের ব্যাথা, অবসাদ, বমি বমি ভাব ও বমি, জ্বরের সাথে লাল দাগ, ত্বকের ফুস কুড়ি, ফ্যাকাসে চামড়া। এই সকল কিছু হলে সকলের সতর্ক থাকা উচিত।

ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়

উপরে বর্ণিত এই সমস্ত উপসর্গ গুলি যদি আপনার শরীরে লক্ষ্য করেন এবং আপনি যদি কোন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন তাহলে চিকিৎসা প্রথমেই এই রোগ নির্ণয়ের জন্য আপনার কাছে কিছু প্রশ্ন রাখবেন। যেমন – আপনার ভ্রমণের ইতিহাস, আপনার ভৌগলিক অবস্থা। এছাড়া রক্ত পরীক্ষা যার মাধ্যমে নির্ণয় করা হবে সাধারণের চেয়ে কম প্লেটলেট আছে কিনা এবং হোয়াইট ব্লাড সেল (WBC) গণনা।

ডেঙ্গু রোগ কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়

১) যতটা সম্ভব আপনার বাড়ির আশেপাশে নালা নর্দমা জঙ্গল পরিষ্কার করে রাখার চেষ্টা করুন।
২) রাতে ঘুমানোর সময় মশারী ব্যবহার করুন।
৩) মশা নিধনের বা ঔষধ।
৪) DEET এর মত মশা নিরোধক ব্যবহার করুন।
৫) যতটা সম্ভব পারবেন এমন বছর পরিধান করতে যা আপনার সম্পূর্ণ শরীর ঢেকে রাখে।
৬) জানলায় মশার নেট ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
৭) বাড়িতে কোন কৌটো বা ড্রামে জল জমতে দেবেন না।

আপনার শরীরে যদি ডেঙ্গু জ্বরের কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় তাহলে, খুব বেশি দেরি না করে দ্রুত কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। ডেঙ্গু জ্বর কিন্তু খুবই মারাত্মক একটি ব্যাধি যেটি একজন ব্যক্তিকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারে। এর জন্য লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথে সময় অপচয় না করে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

আরও পড়ুন:- জেল সুপারের কাছে ‘লিভ ইন’ করার আর্জি সাহিল-মুসকানের, জানতে বিস্তারিত পড়ুন

আরও পড়ুন:- কম বিনিয়োগে ১০টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া, বিস্তারিত জেনে নিন

 

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন