Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ইউরিক অ্যাসিড হল একটি প্রাকৃতিক বর্জ্য পণ্য যা, শরীর থেকে পিউরিনে সমৃদ্ধ খাবার হজমের পর নিঃসৃত হয়। পিউরিন হল রাসায়নিক যৌগ যা কার্বন এবং নাইট্রোজেন পরমাণু দ্বারা গঠিত এবং শরীরে ভেঙে যায়। যখন আমরা পিউরিন-সমৃদ্ধ খাবারের অতিরিক্ত গ্রহণে নিযুক্ত হই, তখন শরীর এটি হজম করতে ব্যর্থ হয়। যার ফলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
উচ্চ মাত্রার ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের অবশ্যই খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। পিউরিন- সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলার পাশাপাশি, অবশ্যই অত্যধিক চর্বিজাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এটি আপনার শরীরের ইউরিক অ্যাসিড নিঃসরণ করার ক্ষমতা হ্রাস করতে পারে। এছাড়াও, অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলাই ভাল। এর পরিবর্তে আপনার জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। এটি আপনার প্রস্রাবকে পাতলা করতে পারে এবং শরীরের অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড ত্যাগ করা সহজ করে তুলতে পারে।
শরীরে ইউরিক অ্যাসিড জমা হওয়াকে খুবই বিপজ্জনক মনে করা হয়। অনেক সময় ইউরিক অ্যাসিড শরীরে ক্রিস্টালের রূপ নেয় এবং ধীরে ধীরে জয়েন্টের চারপাশে জমা হতে থাকে। যার কারণে জয়েন্টে ব্যথার সমস্যায় পড়তে হয়। যদি আপনার শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি থাকে, তাহলে খাবারের বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি। কিছু জিনিস আছে, যা খেলে ইউরিক অ্যাসিড কমানো সম্ভব।
স্বাস্থ্য এবং আমাদের খাওয়াদাওয়ার মধ্যে সরাসরি সংযোগ রয়েছে। আমরা যে খাবার খাই, সেই অনুযায়ী আমাদের শরীর প্রতিক্রিয়া করে। খাদ্যাভাসের সঙ্গে সম্পর্কিত ভুলগুলিও শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। এটি হাড় এবং পেশীর উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। অনেকে বিশ্বাস করেন যে, টক খাবার খেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ে৷ জেনে এই ধারণা ঠিক না ভুল?
বিশেষজ্ঞদের মতে, লেবু, কমলালেবু এবং আমলকী মতো টক জাতীয় ফল ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। কারণ টক ফলে রয়েছে ভিটামিন সি, যা শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের বৃদ্ধি রোধ করে। যাদের শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি, তাদের একটু সাবধান হওয়া দরকার। যাদের কিডনির সমস্যা বা হজম সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে, তাদের টক জাতীয় খাবার খাওয়া কমাতে হবে। এই সমস্যায় আবার বেশি টক খাবার খেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে পারে।
এই প্রতিবেদনে দেওয়া পরামর্শগুলি সাধারণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে। তাই, কোনও চিকিৎসা/ওষুধ/ডায়েট প্রয়োগ করার আগে, অবশ্যই চিকিৎসক বা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।