টার্গেট পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় কর্মচারীকে কুকুরের মতো হাঁটানো হল, কোথায় ঘটলো এমন ঘটনা ?

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- কেরলের কোচিতে একটি বেসরকারি মার্কেটিং ফার্মের কর্মচারীদের উপর অমানবিক আচরণের একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে টার্গেট পূরণ না করার জন্য কর্মচারীদের হাঁটু গেড়ে কুকুরের মতো হাঁটাতে বাধ্য করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, কোম্পানির মালিকের সঙ্গে একজন প্রাক্তন ম্যানেজারের বিরোধ ছিল এবং তিনিই নতুন ট্রেনিদের এই ভিডিওটি তুলেছিলেন। ওই ব্যক্তি দাবি করেছিলেন যে এটি ট্রেনিংয়ের অংশ। তবে, পুলিশ ক্লিপটিকে একটি প্রতারণামূলক ভিডিও বলে দাবি করেছে।

ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে যে একজন ব্যক্তির গলায় দড়ি দিয়ে বেঁধে তাঁকে কুকুরের মতো হাঁটু গেড়ে হাঁটাচ্ছেন আরেকজন। ভিডিওটি ৪ মাস আগের। সেই ম্যানেজার এখন কোম্পানি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে যে কর্মীদের শাস্তি হিসেবে পোশাক খুলতে বাধ্য করা হচ্ছে। ভিডিওগুলি ভাইরাল হতেই রাজ্য শ্রম দফতর কর্মক্ষেত্রে অমানবিক হয়রানির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

আরও পড়ুন:- AC লাগবে না! মাত্র 500 টাকাতেই ঘর ঠান্ডা হবে। সিক্রেট জেনে নিন

ভাইরাল ভিডিওগুলিতে দেখা কর্মীদের বক্তব্য রেকর্ড করেছে পুলিশ, ঘটনার জন্য প্রাক্তন ম্যানেজারকে দায়ী করেছে। কয়েকজন ব্যক্তি, যারা এই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী বলেই মনে করা হচ্ছে, তাঁরা স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলকে জানিয়েছেন যে, যারা টার্গেট পূরণে ব্যর্থ হয়, তাঁদের কর্তৃপক্ষ এই ধরনের শাস্তি দেয়। তবে, ভিডিওতে যে ব্যক্তিকে নির্যাতনের শিকার হিসেবে দেখানো হয়েছে, তিনি পরে সাংবাদমাধ্যমকে বলেন কর্মক্ষেত্রে কোনও হয়রানি করা হয়নি। তিনি বলেন,’আমি এখনও ফার্মে কাজ করছি। এই ভিডিওগুলি কয়েক মাস আগের এবং তখন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত একজন ব্যক্তি জোর করে তুলেছিলেন। পরে তাঁকে কর্তৃপক্ষ পদত্যাগ করতে বলে। তিনি এখন এই ভিডিওগুলি ব্যবহার করে ফার্মের মালিককে কলঙ্কিত করছেন।’

রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী ভি শিবানকুট্টি এই ঘটনাকে মর্মান্তিক এবং বিরক্তিকর বলে অভিহিত করেছেন। এটাও জানিয়েছেন যে কেরলের মতো রাজ্যে এসব মানা হবে না। মন্ত্রী বলেন,’আমি ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি এবং জেলা শ্রম আধিকারিককে তদন্তের পর ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’ হাইকোর্টের আইনজীবী কুলাথুর জয়সিংহের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনও এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এদিকে, কেরল রাজ্য যুব কমিশনও হস্তক্ষেপ করেছে এবং কথিত হয়রানির ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে। প্যানেল জেলা পুলিশকে এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এক বিবৃতিতে, কমিশনের চেয়ারম্যান এম শাজার বলেছেন যে এই ধরনের আচরণের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। যা একটি সভ্য ও গণতান্ত্রিক সমাজে অগ্রহণযোগ্য।

আরও পড়ুন:- আপনার কি চোখের সমস্যা আছে? কি কি লক্ষণ থাকলে সতর্ক হবেন? জানুন

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন