ট্যাংরা-কাণ্ডে নাবালকের দায়িত্ব নিতে নারাজ আত্মীয়রা। চিন্তায় লালবাজার

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ট্যাংরা-কাণ্ডে এবার নাবালকের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় তদন্তকারীরা । পুলিশ সূত্রে খবর, ট্যাংরার দে পরিবারের দুই গৃহবধূ সুদেষ্ণা দে এবং রোমি দে-সহ এক নাবালিকাকে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে । পাশাপাশি দে পরিবারের দুই ছেলে প্রসূন দে ও প্রণয় দে এবং ওই নাবালক চিকিৎসাধীন । এক্ষেত্রে কিছু দিনের মধ্যেই দে পরিবারের দুই ভাই প্রসূন ও প্রণয়কে হেফাজতে নিয়ে গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে চায় লালবাজার ।

তবে এই সবের আগে সবথেকে বড় বিষয় হল, প্রসূন ও প্রণয়কে যদি তদন্তকারীরা গ্রেফতার করেন, সেক্ষেত্রে ওই নাবালকের ভবিষ্যৎ কী হবে ? এ ক্ষেত্রে নাবালকের মামা ও মামির সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছেন তদন্তকারীরা । লালবাজার ও ট্যাংরা থানার তরফে নাবালকের মামা ও মামিকে ওই নাবালকের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে ৷ তবে তাঁরা ওই নাবালকের কোনও দায়িত্ব নিতে চাননি । এই অবস্থায় নাবালকের ভবিষ্যৎ কী হবে ? তা নিয়ে চিন্তায় তদন্তকারীরা ।

কারণ প্রসূন এবং প্রণয়ের ফিট সার্টিফিকেট মিললেই তাঁদেরকে গ্রেফতার করবে কলকাতা পুলিশ । এক্ষেত্রে বাড়ির ওই নাবালককে তাঁরা কোথায় রাখবেন এই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ।

এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, “এক্ষেত্রে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে চলার জন্য এবং নাবালকের নিরাপত্তার কথা ভেবে তাকে হোমে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে । তবে এখনও পর্যন্ত মামা ও মামি-সহ একাধিক আত্মীয়-স্বজনকে নাবালকের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে ৷”

আরও পড়ুন:- হঠাৎ আলোয়, তারপর অন্ধকারে… কিভাবে দিন কাটছে এই ‘Viral তারকা’দের, জানুন

ট্যাংরা-কাণ্ডে ওই নাবালককে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা । লালবাজার সূত্রে খবর, ওই নাবালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে, প্রসূন এবং প্রণয় দে এই ঘটনা ঘটানোর আগে নিজেদের মধ্যে একাধিকবার বৈঠক করেছিলেন । কীভাবে এই হত্যা করা হবে, তা নিয়ে বিস্তর আলাপ-আলোচনা হয়েছিল । এছাড়াও ওই নাবালকের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পারে যে, প্রসূন ও প্রণয় নাকি পরিকল্পনা করেছিলেন, তাঁরা গঙ্গায় ডুব দিয়ে আত্মহত্যা করবেন । পরে সেই পরিকল্পনা বাতিল হয় ।

আবার পরিকল্পনা করা হয় যে, তাঁরা কোনা এক্সপ্রেসওয়ে গিয়ে গাড়ির দুর্ঘটনা ঘটাবেন । কিন্তু বিপরীতে থাকা গাড়ির যাত্রীরাও দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন, এই ভেবে সেই পরিকল্পনাও বাতিল করা হয় । পরে তাঁরা গাড়ি নিয়ে গড়ফায় মেট্রোর একটি পিলারে ধাক্কা মারেন । কিন্তু তাতে তাঁদের মৃত্যু হয়নি । ওই নাবালককে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা । নাবালকের দেওয়া বয়ান তাঁরা ভালোভাবে খতিয়ে দেখছেন ৷

আরও পড়ুন:- উচ্চমাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষা 100% Common পাওয়ার টিপস! রইলো বিস্তারিত

আরও পড়ুন:- মেদিনীপুরের বর, বাংলাদেশি কনে, জানুন কিভাবে পরিণতি পেল প্রেম

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন