Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী :- অনেকে মারাত্মক ভয় পায় সূঁচে। তাই করোনা টিকা নিতে যাচ্ছেন না অনেকেই। চিকিৎসকরা বলছেন, এই অসুখটি চেনা। চিকিৎসার পরিভাষায় একে বলে ” ট্রাইপ্যানোফোবিয়া “। অর্থাৎ ইঞ্জেকশনের সূঁচে আতঙ্ক! আমাদের রাজ্যে টিকাকরণ হয়েছে প্রায় ২ কোটি ৯০ লক্ষ জনতার। এই সংখ্যাটা আরও বাড়তেই পারত। সূঁচ আতঙ্ককেই অন্যতম কারণ বলছেন ডাক্তাররা।
কিছু জায়গায় মারাত্বক ভিড় থাকলেও, অনেক ভ্যাকসিনেশন সেন্টার ফাঁকা রয়েছে। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের সাইকিয়াট্রিক বিভাগের প্রধান ডা. দিব্যগোপাল মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ইঞ্জেকশনের সূঁচ থেকে ভয় অত্যন্ত চেনা রোগ। অনেকেই আছেন যারা ইঞ্জেকশন ফোটাতে দেবেন না। তাদের বুঝিয়ে সুঝিয়ে টিকা দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। করোনাকে ঠেকাতে হলে সবাইকে টিকা নিতেই হবে।
ইঞ্জেকশন আতঙ্ক বা ট্রাইপ্যানোফোবিয়া খুব পুরনো অসুখ নয়। ইংল্যান্ডে প্রতি চারজনে একজন ইঞ্জেকশন আতঙ্কে ভোগেন। আমেরিকার জনসংখ্যার ১০ শতাংশ মানুষ ভুগছেন ট্রাইপ্যানোফোবিয়ায়। আমাদের রাজ্যে পরিসংখ্যানগত বিশ্লেষণ বলছে, গড়ে প্রতি ১০ জনে ১ জন সূঁচ আতঙ্কে ভোগেন। সেই হিসেবে বাংলার ৮০ লক্ষ ইঞ্জেকশন আতঙ্কে ভুগছেন।
বিশেষজ্ঞের অভিজ্ঞতা বলছে , একটি হাসপাতালের আবাসিকদের অনেকে টিকার সূঁচ ফোটাতে গররাজি ছিলেন। তাঁদেরকে বোঝাতে হয়েছে। মশার কামড়ের মতোই লাগে। গল্প করার টিকা দেওয়া ছাড়া বেরনোর উপায় দেখছেন না চিকিৎসকরা। গোমড়া মুখো ভ্যাকসিনেটর দিয়ে কাজ সম্ভব নয় বলে মত আরজিকর হাসপাতালের সাইকিয়াট্রিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. দিব্যগোপাল মুখোপাধ্যায়ের। গল্পের ছলে টিকা দিতে পারলে তবেই কাটানো যাবে ফোবিয়া।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল