Bangla News Dunia, Pallab : হার্ভার্ডের পর এবার ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উপর খড়্গহস্ত হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইজরায়েল-হামাস সংঘাতের আবহে ক্যাম্পাসে ‘ইহুদি বিদ্বেষ’ ছড়ানোর অভিযোগ তুলে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি ডলার, অর্থাৎ প্রায় ৮৭৫৮ কোটি টাকা জরিমানা ঘোষণা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
আরও পড়ুন : সাবধান! স্মার্টফোন চার্জে দেওয়ার সময় এই ভুল করবেন না, ফোন Dead হয়ে যায়
গত বছর থেকে গাজায় ইজরায়েলি হামলার প্রতিবাদে আমেরিকার বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র বিক্ষোভ চলছে। হোয়াইট হাউসের দাবি, প্যালেস্টাইনিদের প্রতি সহমর্মিতার আড়ালে এই আন্দোলনগুলি আসলে ইহুদি বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। ট্রাম্প সরকারের অভিযোগ, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের লস অ্যাঞ্জেলেস ক্যাম্পাসে ইহুদি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নিশানা করা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসন পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, এই বিপুল অঙ্কের জরিমানা যদি না মেটানো হয়, তবে বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া সমস্ত সরকারি অনুদান বন্ধ করে দেওয়া হবে। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লস অ্যাঞ্জেলেস-সহ ১০টি ক্যাম্পাসের প্রধান জেমস মিলিকেন জানান, গত শুক্রবার তাঁদের কাছে এই জরিমানার নোটিশ এসে পৌঁছেছে এবং তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
উল্লেখ্য, এর আগেও ট্রাম্প প্রশাসন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও একই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। গাজায় ইজরায়েলি বাহিনীর কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে সেখানে ছাত্র বিক্ষোভ শুরু হলে ট্রাম্পের দপ্তর অভিযোগ করে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইহুদি শিক্ষার্থীদের প্রতি বিদ্বেষমূলক পরিস্থিতি নিয়ে উদাসীন। ফলস্বরূপ, সে সময় কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের জন্য বরাদ্দ ৪০ কোটি ডলারের অনুদান ছাঁটাই করা হয়েছিল। তবে এবারে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে জরিমানার পরিমাণ তার তিনগুণেরও বেশি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে বেছে বেছে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়কে নিশানা করছেন। এই ধরনের আর্থিক চাপ প্রয়োগ করে ভিন্ন মতাদর্শের আন্দোলনকে দমন করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও মনে করছেন অনেকেই। তবে এই পদক্ষেপ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা এবং শিক্ষার্থীদের মত প্রকাশের অধিকারের ওপর কতটা প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।