Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিরাট গ্রহাণু। আমেরিকান মহাকাশ সংস্থা নাসা জানিয়েছে যে ৪০-৯০ মিটারের ওই গ্রহাণুটি ২০৩২ সালের ২২ ডিসেম্বর পৃথিবীকে আঘাত করতে পারে। নাসার তরফে আরও জানানো হয়েছে, এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর যে অংশে ধাক্কা খাবে সেই অংশটিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেবে। তবে এই গ্রহ পৃথিবীর কোন অংশে আছড়ে পড়তে চলেছে তা খুঁজে বের করছেন বিজ্ঞানীরা। সংবাদসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, নাসার বিজ্ঞানীরা সতর্কতার পর ৯০ মিটারের গ্রহাণুটি শনাক্ত করেছেন। বলা হচ্ছে, জাপানের হিরোশিমায় যে আমেরিকান বোমা পড়েছিল তার থেকে এই গ্রহাণুটি ৫০০ গুণ বেশি শক্তিশালী।
আরও পড়ুন:- মহিলাদের জন্য সেরা 5 অনলাইন কোর্স। বাড়ি বসে শিখে প্রতিমাসে হাজার হাজার টাকা রোজগার করুন
এই গ্রহাণুটি আঘাত করতে কতক্ষণ সময় লাগবে?
বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীর সঙ্গে এই গ্রহের সংঘর্ষের সম্ভাবনা ৩ শতাংশের বেশি। সাধারণত, বিজ্ঞানীরা ১ শতাংশের বেশি সম্ভাবনাকে গুরুত্ব সহকারে নেন। গ্রহাণুটির গতিবেগ দেখে বলা হচ্ছে ২০৩২ সালের মধ্যে এটি পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা খেলে পারে। তবে এর গতি বাড়লে আরও আগেই পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন যে এই গ্রহাণুটি যেদিন পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা খাবে, সেদিন এর গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৪০,০০০ মাইল। নাসা বলেছে, এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর কাছাকাছি পৌঁছলে বাতাসে বিস্ফোরণ ঘটবে। বিস্ফোরণের ফলে সেখানকার বাতাস বিষাক্ত হয়ে যাবে। বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ পরেই পুরো শহরে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই গ্রহটি পৃথিবীর একটি শহরকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেবে। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীর সঙ্গে এর সংঘর্ষের এখনও সময় আছে। ততদিনে এই গ্রহাণুটিকে সমুদ্রের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য কিছু প্রযুক্তি তৈরি করা হবে। নাসা এবং অন্যান্য মহাকাশ সংস্থার বিজ্ঞানীরা ক্রমাগত এই গ্রহাণুটির উপর নজরদারি করছেন। বলা হচ্ছে এই গ্রহাণুটি বেশ স্বাভাবিক এবং অন্যান্য গ্রহাণুর থেকেও অনেক ছোট।
আরও পড়ুন:- আঙুর শুধু জলে ধুলেই হয় না, ৩ উপায়ে পরিষ্কার না করলে মারণ রোগের বাসা বাঁধবে
আরও পড়ুন:- রেখা গুপ্তা কে? কেন তাঁকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী করল BJP?