Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ডায়াবেটিস বর্তমান সময়ের দ্রুত বর্ধনশীল রোগগুলির মধ্যে একটি। ভারতে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে, বিশেষ করে গত দশকে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়স বৃদ্ধি এবং পারিবারিক ইতিহাসের কারণে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু ভুল খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাপনের অভ্যাসও এই রোগ বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। আপনি কী খাচ্ছেন এবং কোন ধরনের জীবনযাপন করছেন, তা আপনার স্বাস্থ্যের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
ডায়াবেটিসকে নীরব ঘাতক বলা হয়। ডায়াবেটিসের তিনটি ধরণের সমস্যা রয়েছে – টাইপ ১ ডায়াবেটিস, টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং গর্ভকালীন ডায়াবেটিস। শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে ডায়াবেটিস সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করে, সময় মতো ওষুধ খেয়ে এবং প্রতিদিন ব্যায়াম করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিছু ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। এমন একটি মশলা রয়েছে, যার সাহায্যে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
খাবারে তেজপাতার ব্যবহার বেশ সাধারণ। খাবার ছাড়াও, তেজপাতা আরও অনেক কিছুতে ব্যবহৃত হয়। তেজপাতা খাবারে সুগন্ধ আনার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে বিবেচিত হয়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তেজপাতা খুবই উপকারী। জেনে নিন কীভাবে ডায়াবেটিস রোগীরা তেজপাতা থেকে উপকৃত হতে পারেন।
রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়
তেজপাতায় কিছু যৌগ থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। প্রতিদিন তেজপাতা খেলে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি রোধ করা যায়।
ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে
তেজপাতায় উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইনসুলিনের কার্যকারিতা উন্নত করে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা দূর করে।
হজমশক্তি উন্নত করে
অনেকে বিশ্বাস করেন যে তেজপাতা খেলে হজমশক্তি উন্নত হয় এবং পরিপাকতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করে।
লিপিড প্রোফাইল নিয়ন্ত্রণ
তেজপাতায় পলিফেনল নামক একটি যৌগ থাকে যা লিপিড প্রোফাইল সুস্থ রাখতে এবং হৃদরোগের স্বাস্থ্য উন্নত করতে কাজ করে।
ওজন হ্রাস
খাবারে তেজপাতা ব্যবহার করলে ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এটি পেট দীর্ঘ সময় ধরে ভরা রাখে।
আরও পড়ুন:- হিটলারের গ্যাস চেম্বারের ভিতরটা কেমন ছিল? কিভাবে বন্দিদের উপর চালানো হয়েছিল নিধনযজ্ঞ ?