Bangla News Dunia, Pallab : বিগত কয়েক বছরের কলকাতা ডার্বির পরিসংখ্যান দেখলে ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে বলার মতো কিছু নেই। ISL ও ডুরান্ড কাপের ডার্বি ধরলে ইস্টবেঙ্গল ২০২৩ সালে শেষবার জিতেছিল। সেখান থেকে কামব্যাক করল ২০২৫ সালে। নতুন দল আর বাজিমাত। রশিদ ম্যাচের আগেই দল ছেড়েছিলেন। ম্যাচের শুরুতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন হামিদ আহদাদ। কিন্তু দুই বিদেশিকে ছাড়াই বাজিমাত করল লাল হলুদ। প্রথমার্থে একটি গোল ও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে একটি। অনিরুধ থাপা একটি গোল শোধ করলেও সেটা পর্যাপ্ত ছিল না। এই ম্যাচটা জিতে ডুরান্ড কাপের সেমি ফাইনালে চলে গেল ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে মোহনবাগান ডুরান্ড কাপ থেকে ছিটকে গেল।
আরও পড়ুন : জিএসটি ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত, সাধারণ মানুষের জন্য কী অপেক্ষা করছে ?
প্রথমার্ধের শুরু থেকে ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে চাপ বজায় রাখতে থাকে। একের পর এক আক্রমণ বিশাল কাইথকে সামলাতে হয়। মাত্র ৩ মিনিটের মাথায় গোল করার সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের মরোক্কান স্ট্রাইকার হামিদ আহদাদের কাছে। বলটা বাগানের গোলরক্ষক বিশাল কাইথের সামনে বাউন্স খেলেও বিপদের কোনও গন্ধ অবশ্য ছিল না। তবে এর পর আর হামিদকে সে ভাবে পাওয়া যায়নি। তাঁকে কার্যত বোতলবন্দী করে ফেলেন অনিরুধ থাপা। একই ছবি ছিল মিগুয়েলের ক্ষেত্রেও। তবে ১৯ মিনিটে হামিদ চোট পেয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর কিছুটা ধীরে হয় ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ।
ইস্টবেঙ্গলের একের পর এক আক্রমণে একটা সময়ে মোহনবাগান প্লেয়ারদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটছিল। তার ফল পেনাল্টি। ৩৬ মিনিটে বিপিন সিংকে বক্সের মধ্যে ফাউল করলেন আশিস রাই। কয়েক সেকেন্ড আগে এডমুন্ডকেও একইভাবে ট্যাকল করেছিলেন অভিষেক সিং টেকচাঁম। কিন্তু তা রেফারির নজর এড়িয়ে যায়। ৩৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন দিমিত্রিয়াস দিয়ামান্তাকোস।
প্রথমার্ধের একদম শেষ মুহূর্তে অতিরিক্ত সময়ের ২ মিনিটে আপুইয়া দূরপাল্লা একটি শট নেন, কিন্তু বাইরে মারেন। প্রথমার্ধে এটাই ছিল মোহনবাগানের একমাত্র শট। প্রথমার্ধে মোহনবাগান যেখানে মাত্র একটা শট গোলে রাখতে পারে সেখানে ইস্টবেঙ্গলের মোট শট ছিল ৫টা।