ডিজিটাল মার্কেটিং কি? কিভাবে কাজ শিখবেন ও আয়ের সহজপথ তৈরি করবেন ? জেনে নিন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

 

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ডিজিটাল মার্কেটিং কাজ করে অনেকেই টাকা উপার্জন করতে চাইছেন। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করে নিজের পায়ে দাঁড়ানো একটি অন্যতম মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। উন্নত প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের ব্যাপক প্রসারের ফলে আমরা এক ডিজিটাল যুগে বসবাস করছি। এখনকার দিনে দোকানে গিয়ে জিনিসপত্র কেনার থেকে অনলাইন মাধ্যমে জিনিসপত্র দেখা, পছন্দ করা ও ক্রয় করতে বেশি পছন্দ করেন মানুষ জন।

ডিজিটাল মার্কেটিং করে ঘরে বসেই টাকা উপার্জন করুন

এই জন্য মানুষের চাহিদা বজায় রাখতে এই মার্কেটিং একটি অন্যতম ব্যবসায়ী পন্থায় পরিণত হয়েছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি মাধ্যম যেটি ডিজিটাল মাধ্যমে পণ্য বা সেবা প্রচার করতে সহায়তা করে। ডিজিটাল মাধ্যমে অনেক গুলো ভাগ রয়েছে। আজকের এই প্রতিবেদনে ডিজিটাল মার্কেটিং কি, এর প্রকারভেদ, কিভাবে এই ব্যবসা শুরু করবেন? এই সকল তথ্য জানানো হবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি?

ডিজিটাল মার্কেটিং হলো পণ্য বা সেবার প্রচার, যে প্রচার বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে করা হয়। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে বিভিন্ন ডিজিটাল চ্যানেল যেমন সার্চ ইঞ্জিন, সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেইল, মোবাইল অ্যাপ, ওয়েবসাইট, অনলাইন বিজ্ঞাপন ইত্যাদি ব্যবহার করে গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়। এর মধ্যে কন্টেন্ট মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পড়ে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব?

এই রকম প্রশ্ন কম বেশি সবার মনেই আসে শুরুতে। ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করা প্রাথমিকভাবে একটু জটিল মনে হতে পারে, তবে সঠিক পরিকল্পনা ও ধৈর্য্য সহকারে এটি সহজেই করা সম্ভব। নিচে ১০ টি ধাপ দেওয়া হলো, যে গুলি অনুসরণ করে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন। সেই সকল তথ্য সম্পর্কে আপনারা জেনে নিতে পারবেন।

আরও পড়ুন:- হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক নওশাদ সিদ্দিকীর, জানুন কী কথা হল?

আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন:- ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করার আগে প্রথমেই আপনার লক্ষ্য স্থির করুন। আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি আপনাকে সঠিক কৌশল বেছে নিতে সাহায্য করবে। আপনার লক্ষ্য যদি বিক্রয় বাড়ানো হয়, তবে আপনি পেইড বিজ্ঞাপনের উপর জোর দিতে পারেন। আর যদি আপনার লক্ষ্য ব্র্যান্ড সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়, তবে সোশ্যাল মিডিয়া এবং কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ে ফোকাস করতে হবে।

টার্গেট অডিয়েন্স সনাক্ত করুন :- ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে সঠিক গ্রাহক নির্ধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে জানতে হবে আপনার পণ্য বা সেবার জন্য নির্দিষ্ট কাস্টমারকে টার্গেট করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি একটি ফ্যাশন ব্র্যান্ড চালান, তবে আপনার টার্গেট অডিয়েন্স হতে পারে যুব সম্প্রদায় যারা ফ্যাশন সম্পর্কে সচেতন। সঠিকভাবে টার্গেট অডিয়েন্স নির্বাচন করতে পারলে আপনার মার্কেটিং কৌশল আরও কার্যকর হবে এবং আপনি কম খরচে ভাল ফলাফল পেতে পারবেন।

একটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন :- আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য একটি ওয়েবসাইট দরকার।ওয়েবসাইট হলো আপনার ব্যবসার অনলাইন পরিচয়, যেখানে গ্রাহকরা আপনার পণ্য বা সেবার সম্পর্কে জানতে পারেন এবং কেনাকাটা করতে পারেন। ওয়েবসাইট এমনভাবে তৈরি করতে হবে, যাতে সুন্দর আকর্ষণীয় ডিজাইন থাকবে এবং আপনার ব্যবসার সংক্রান্ত সম্পূর্ণ তথ্য দেওয়া থাকবে, যাতে ওয়েবসাইট দেখেই গ্রাহকদের বুঝতে সুবিধা হবে।

SEO শিখুন :- SEO বা সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন হলো এমন একটি কৌশল যার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে আরও উপরের দিকে নিয়ে যেতে পারেন। SEO এর প্রধান অংশগুলি হলো কীওয়ার্ড রিসার্চ, অন-পেজ অপ্টিমাইজেশন, অফ-পেজ অপ্টিমাইজেশন এবং টেকনিক্যাল SEO। সঠিক কীওয়ার্ড ব্যবহার, উচ্চ মানের কন্টেন্ট তৈরি এবং ভালো ব্যাক লিংক পেয়ে আপনার ওয়েবসাইটের র‍্যাঙ্কিং উন্নত করতে পারেন। SEO শিখতে কিছু সময় লাগবে, কিন্তু একবার এটি আয়ত্তে আসলে এটি আপনার ওয়েবসাইটে স্থায়ীভাবে ভালো ফল দেবে।

কন্টেন্ট মার্কেটিং শুরু করুন :- কন্টেন্ট মার্কেটিং হলো ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর মাধ্যমে আপনি শিক্ষা মূলক, তথ্যপূর্ণ এবং আকর্ষণীয় কন্টেন্ট তৈরি করে আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছাতে পারেন। ব্লগ পোস্ট, ভিডিও, ইনফোগ্রাফিক, ই-বুক, ইত্যাদির মাধ্যমে কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন। কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ের প্রধান লক্ষ্য হলো আপনার অডিয়েন্সের সমস্যার সমাধান দেওয়া এবং তাদেরকে আপনার পণ্য বা সেবার প্রতি আকৃষ্ট করা।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ব্যবহার করুন:- সোশ্যাল মিডিয়া হলো একটি শক্তিশালী মাধ্যম যা আপনাকে বৃহত্তর শ্রোতাদের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ দেয়। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এবং ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্মে আপনার ব্র্যান্ড প্রমোট করুন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত কন্টেন্ট শেয়ার করুন। বিভিন্ন ক্যাম্পেইন চালান, গ্রাহকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করুন এবং তাদের প্রশ্নের উত্তর দিন। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্র্যান্ডের সচেতনতা বাড়াতে এবং নতুন গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে পারেন।

ইমেইল মার্কেটিং শিখুন :- ইমেইল মার্কেটিং হলো একটি সরাসরি এবং ব্যক্তিগতকৃত যোগাযোগের মাধ্যম। এর মাধ্যমে আপনি আপনার কাস্টমারদের ইমেইল পাঠিয়ে তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে পারেন। ইমেইল মার্কেটিংয়ের জন্য আপনাকে প্রথমে একটি ইমেইল আইডি খুলতে হবে। এরপর, আপনি এই ইমেইল তালিকায় সাবস্ক্রাইবারদের জন্য প্রাসঙ্গিক এবং মূল্যবান কন্টেন্ট পাঠাতে পারেন, যেমন নিউজলেটার, প্রোমোশনাল অফার, আপডেট ইত্যাদি।

পেইড অ্যাডভার্টাইজিং ব্যবহার করুন:- পেইড অ্যাডভার্টাইজিং হলো ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের একটি দ্রুত ফলাফল প্রদানকারী মাধ্যম। গুগল অ্যাডস, ফেসবুক অ্যাডস, ইনস্টাগ্রাম অ্যাডস, ইউটিউব অ্যাডস, অ্যাডসের মাধ্যমে আপনি আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছাতে পারেন।

ডাটা অ্যানালিটিক্স শিখুন:- ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে ডাটা অ্যানালিটিক্স একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি আপনাকে বুঝতে সাহায্য করে কোন মার্কেটিং কৌশল কার্যকর হচ্ছে এবং কোনটি হচ্ছে না। গুগল অ্যানালিটিক্স, ফেসবুক ইনসাইটস, এবং অন্যান্য টুলস ব্যবহার করে আপনি আপনার ওয়েবসাইট এবং ক্যাম্পেইন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।

ক্রমাগত শেখার মানসিকতা রাখুন:- ডিজিটাল মার্কেটিং একটি ক্রমাগত পরিবর্তনশীল ক্ষেত্র। প্রতিনিয়ত নতুন কৌশল, নতুন টুলস এবং নতুন ট্রেন্ড আসছে। তাই ক্রমাগত শেখার এবং নিজেকে আপডেট রাখার মানসিকতা রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি চাইলে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে নতুন কোর্স শেখা শুরু করতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত ব্লগ পড়ুন, ওয়েবিনার ও সেমিনারে যোগ দিন এবং ইন্ডাস্ট্রির বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকুন।

আরও পড়ুন:- আপনার শিশুও কি পট্যাটো চিপসের ভক্ত? অবশ্য়ই জেনে রাখুন এই জিনিস

আরও পড়ুন:- হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি পূরণ করতে পাতে রাখুন এই ফলগুলি

 

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন