কূটনীতির বাস্তবতা করমর্দনের চেয়েও অনেক কঠিন ও গভীর। আজ এমনই এক চাঞ্চল্যকর দৃশ্য দেখা গেলো ঢাকায়। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শেষকৃত্যকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক টানাপড়েন সত্ত্বেও একই ছাদের নীচে সৌজন্য বিনিময়ে দেখা গেল ভারত ও পাকিস্তানের শীর্ষ দুই নেতাকে। যদিও সংক্ষিপ্ত সাক্ষাতে একে অপরের সঙ্গে করমর্দন করেন এবং কুশল বিনিময় করেন তারা।
আজ বুধবার সকালে বায়ুসেনার বিমানে করে ঢাকায় পৌঁছান বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। খালেদা জিয়ার শেষকৃত্যে অংশ নিতে একই দিনে বাংলাদেশে আসেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সর্দার আয়াজ সাদিক।
এদিন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর শোকবার্তা জানাতে খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নিজ দেশের পক্ষে শোকা বার্তা ও মোদীর পক্ষ থেকে শোকবার্তা সম্পন্ন চিঠিও পৌঁছে দিয়েছেন ।
সেখানেই দু’জনের মধ্যে কুশল বিনিময় হয় এবং করমর্দন করেন তাঁরা। সেখানেই দেখা হয় পাকিস্তানের ওই নেতার এরপর সৌজন্যে রেখে দু’জনে কুশল বিনিময় হয় এবং করমর্দন করেন।
উল্লেখ্য, ‘অপারেশন সিঁদুর’ এর পর থেকে কার্যত তলানিতে ঠেকেছে দিল্লি ও ইসলামাবাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক। রাজনৈতিক পরিবেশের পাশাপাশি ক্রিকেট ও তার প্রভাব পড়েছিল, এমনকি ক্রিকেটার সূর্যকুমার যাদব খেলার মাঠেও পাক অধিনায়কের সঙ্গে হাত মেলাননি। এবিষয়ে এখনও পর্যন্ত বিদেশমন্ত্রী কোনও বার্তাও প্রকাশ্যে উঠে আসেনি।












