Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- সরযূ নদীতে ‘জলসমাধি’ দেওয়া হলো রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাসকে। সম্প্রতি ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন তিনি। কিন্তু হিন্দু ধর্মের স্বাভাবিক নিয়ম মেনে তাঁকে দেহ করা হলো না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সরযূ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হলো তাঁর মরদেহ। সন্তুদের ভাষায়, এটিই ‘জলসমাধি’।
একটি পালঙ্ক করে আচার্য সত্যেন্দ্র দাসের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় সরযূ নদীর পাড়ে। তুলসীদাস ঘাটের শ্মশান প্রাঙ্গণে জল দেওয়া হয়। এর পর সূর্যাস্ত হতেই মরদেহ নিয়ে যাত্রা শুরু হয়। তাঁর উত্তরসূরি প্রদীপ দাস সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, রমানন্দী প্রথা অনুযায়ী, ‘জলসমাধি’ দেওয়া হলো আচার্য সত্যেন্দ্র দাসকে।
কী ভাবে হলো এই ‘জলসমাধি’?
একটি নৌকায় চাপিয়ে আচার্য সত্যেন্দ্র দাসের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় সরযূ নদীতে। দেহের সঙ্গে বেঁধে দেওয়া হয় ভারী পাথর। নিয়মমাফিক স্তোত্রপাঠ এবং পুজার্চনা করে জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয় দেহ। ‘জলসমাধি’-র সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিতের দেহ জলে ভাসিয়ে দিতে দেখা যায় একদল সন্তকে। তবে এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় অনলাইন। প্রদীপ দাস দাবি করেছেন, এই প্রথা বহু প্রাচীন। যদিও তা বর্তমানে খুবই বিরল। এই প্রথা সন্তদের মধ্যে এখনও প্রচলিত রয়েছে। তাঁদের বিশ্বাস, জলসমাধির মাধ্যমে আত্মা নিশ্চিত মোক্ষ লাভ করে। প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে পঞ্চভূতে বিলিন হয় নশ্বর দেহ। কিন্তু আত্মার মোক্ষলাভের জন্য এই সমাধি প্রক্রিয়াই শ্রেষ্ঠ। রাম মন্দিরের একাধিক পুরোহিত দাবি করেছেন, অযোধ্যায় রামচন্দ্রও নাকি এভাবেই সরযূতে বিলীন হয়ে গিয়েছিলেন।
যদিও রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিতের দেহ এভাবে জলে ভাসিয়ে দেওয়ার প্রথা নিয়ে আপত্তিও উঠেছে সমাজের একাংশের থেকে। অনেকেই মনে করছেন এই প্রথা অবৈজ্ঞানিক। আবার কারও কারও মতে এই কাজ পুরোহিতের অবমাননা। পরিবেশবিদদের একাংশও বিষয়টি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।