Bangla News Dunia, Pallab : এসআইআর নিয়ে সরগরম বাংলার রাজনীতি। বিহারে প্রায় ৪২ লক্ষ ভোটারের নাম বাতিল হতেই টনক নড়েছে বাংলার শাসক দলের। ছাব্বিশের নির্বাচনের আগেই পশ্চিমবঙ্গেও ভোটার তালিকা সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই লক্ষ্যে গত সপ্তাহেই ১০০০ বিএলও-কে প্রশিক্ষণের জন্য দিল্লিতে নিয়ে গিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা দাবি করেন, “বাংলা থেকে প্রায় ১ হাজার লোককে দিল্লিতে ট্রেনিং দিতে নিয়ে গেছে। আমি জানতাম না। ডিএমদের উচিত ছিল আমাকে জানানো। সিএসকে জানানো।” এই প্রেক্ষিতে এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি দিল্লিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিএলওদের বদলি করতে জেলা শাসকদের মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ।
আরও পড়ুন : পেনশন না থাকলেও দুশ্চিন্তা নেই, LIC-এর এই ৪ স্কিম নিশ্চিত করবে অবসর জীবন
Mamata Banerjee had expressed displeasure over the training of the BLOs in Delhi without informing her or the Chief Secretary.
Her reminder to BLOs that they are State Govt Employees, implying their duties align with the State Government during pre- and post-election periods,…— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) July 30, 2025
গত সপ্তাহেই বিএলও-দের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। বোলপুরের সভা থেকে ব্লক লেভেল অফিসারদের হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তা নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু বলেন, “এটা বিএলওদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া যে তারা রাজ্য সরকারের কর্মী। নির্বাচনের আগে এবং পরে তাঁরা চাকরি করবেন রাজ্যের অধীনেই। এতে পরিষ্কার নির্বাচন কমিশনকে তা দেখে নির্বাচনকে কারসাজি করার তার স্পষ্ট প্রচেষ্টাকে প্রকাশ করে দিয়েছে।”
শুভেন্দু দাবি করেন, বিএলও প্রশিক্ষণের বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপের পর, তার ‘ইয়েস-ম্যান’ মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ এখন মৌখিকভাবে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের (ডিইও) দিল্লিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১,০০০ বিএলও-কে বদলি করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি তদন্তের দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশনের। দোষী সাব্যস্ত হলে, সাংবিধানিক বিধান অনুসারে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
উল্লেখ্য, বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। যাকে বলা হচ্ছে ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’। এরপর বাংলায় শুরু হতে পারে।