Bangla News Dunia, Pallab : রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে শুক্রবার দুর্গাপুরে আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তারপর আচমকাই দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারে আসেন রাজ্যপাল। স্বাভাবিকভাবেই চোখের সামনে রাজ্যপালকে দেখে হতচকিত হয়ে যান বাজারের ক্রেতা বিক্রেতারা। বাজার ঘুরে তিনি নিজের জন্য কেনেন সবজিও। পরে একটি চায়ের দোকানে আসেন। মাটির ভাঁড়ে চা-ও খান রাজ্যপাল। কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। বাজার করতে এসে রাজ্যপালকে দেখতে পেয়ে খুশি স্থানীয়রা বাসিন্দারা। রাজ্যপালের কথায়, মানুষের সমস্যা বুঝতেই এই বাজারে আসা ও সবার সঙ্গে কথা বলা।
আরও পড়ুন : কেটেছে ওবিসি জট, আগামী সপ্তাহে রাজ্য জয়েন্টের ফল ঘোষণা
দুদিন আগে রাজ্য সফরে এসেছিলেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। বাংলা সফর শেষ করে শুক্রবার রাষ্ট্রপতির পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের অদূরে অন্ডালের কাজি নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর হয়ে ঝাড়খণ্ড যাওয়ার কথা। সেই কারণে এদিন সকালে রাষ্ট্রপতির সঙ্গেই অন্ডাল বিমানবন্দরে আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বিমানবন্দরে ছিলেন রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটকও। রাষ্ট্রপতিকে বিমানবন্দরে বিদায় জানিয়ে রাজ্যপাল চলে আসেন দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারে। তিনি বাজারে ঢুকে প্রথমেই চলে যান একটি চায়ের দোকানে। সেই দোকানদারের সঙ্গে কথা বলেন আনন্দ বোস। মাটির ভাড়ে চা খান তিনি। মিটিয়ে দেন চায়ের দামও। এরপর বেশ কয়েকটি সবজির দোকানে যান রাজ্যপাল। কথা বলেন ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে। তাঁদের সমস্যার কথা শোনেন। এরপর নিজের জন্য সবজিও কেনেন তিনি।
এরপরে রাজ্যপাল সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলে। প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘বাজারে এসেছিলাম। সবজির দাম বেড়েছে। সবার সঙ্গে কথা বললাম। মানুষের সমস্যা বুঝতেই এভাবে বাজারে আসা। অনেক কিছু দেখলাম, বুঝলাম।’ গোটা বিষয়টা মাথায় রেখে পদক্ষেপ করা হবে বলে আশ্বাসও দেন রাজ্যপাল। এরই মধ্যে ব্যবসায়ী ও দোকানদের চকলেট উপহার দিয়ে বাজার থেকে বেরোন রাজ্যপাল। সেখান থেকেই সড়কপথে কলকাতায় ফিরে যান রাজ্যপাল।