উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে (Durgapur Gangrape) গ্রেপ্তার করা হল পঞ্চম এবং শেষ অভিযুক্তকে। গত শুক্রবার এই ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধেই প্রাথমিকভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। ধৃতদের মধ্যে একজন দুর্গাপুর পুরসভার বিদ্যুৎ বিভাগের অস্থায়ী কর্মী। এখনও আটক অভিযোগকারী তরুণীর সহপাঠী।
এই ঘটনায় সোমবারও সরগরম দুর্গাপুর। ঘটনার প্রতিবাদে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডা অফিসের সামনে ধর্না মঞ্চের প্রস্তুতি নিয়েছিল বিজেপি। তাদের বাধা দেয় পুলিশ। যা নিয়ে বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের সঙ্গে পুলিশ আধিকারিকদের বাগবিতন্ডা বেধে যায়। জানা গিয়েছে, কোনো কথা না শুনে পুলিশের বাধা অমান্য করে ধর্না মঞ্চের কাজ শুরু হয়। পরে তাতে যোগদান করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাস্তায় বসে তিনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও পুলিশ প্রশাসনকে আক্রমণ করেন।
সম্প্রতি দুর্গাপুরের (Durgapur) এক বেসরকারি মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। তিনি ওডিশা (Odisha)-র বাসিন্দা। এক সহপাঠীর সঙ্গে ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়েছিলেন তরুণী। অভিযোগ, সেইসময় কয়েকজন যুবক এসে তাঁদের পথ আটকায়। সরিয়ে দেওয়া হয় সেই সহপাঠীকে। কেড়ে নেওয়া হয় তরুণীর মোবাইল। এরপর ছাত্রীকে জোর করে রাস্তা থেকে তুলে পাশের জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ, সেখানেই গণধর্ষণ করা হয় তাঁকে। পরে তরুণীর সহপাঠী তাঁকে উদ্ধার করে কলেজে নিয়ে যান। ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। বিষয়টি জানার পর তড়িঘড়ি দুর্গাপুরে এসে পৌঁছান তরুণীর বাবা-মা। ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। রবিবার তিনজনকে দুর্গাপুর আদালতে হাজির করানো হয়। এদিন বাকি দুজনকেও দুর্গাপুর আদালতে তোলা হয়েছে।