Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবই পড়েনি রাজ্যে। অতীতে একাধিক ঘুর্ণিঝড়ে প্রভাব পড়েছে। যেমন আয়লা , ফণি, বুলবুল, আমফান এবং যশের প্রভাবে দিঘা, সুন্দরবন সহ বিভিন্ন এলাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। সেই ভয়ঙ্কর রূপ দেখা থেকে বেঁচেছে বাংলার মানুষ। আগামী দিনে আবারও ঘুর্ণিঝড় বা অন্য বিপর্যয় আসতে পারে। তৈরি থাকা দরকার।
বিপর্যয়ের সময় সবথেকে বেশি সমস্যা তৈরি হয় টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থায়। ভেঙে পড়ে একাধিক সিগন্যাল টাওয়ার। স্তব্ধ হয়ে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থাও বেশ কিছু সময়ের জন্য স্তব্ধ হয়ে পড়ে। টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা সঠিক থাকলেও বিদ্যুতের অভাবে ফোনে চার্জ না থাকলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় না। সমস্যা থেকে মুক্তি কীভাবে ? সাধারণ কিছু নিয়ম মানলেই ঝড় বা প্রবল বর্ষণেও ফোনটিকে চালু রাখতে পারবেন। জেনে নিন একনজরে ——-
১. ফোন এবং পাওয়ার ব্যাঙ্কে চার্জ দিন। ঘুর্ণিঝড় বা প্রাকতিক দুর্যোগ শুরু হওয়ার আগেই ফোনে সম্পূর্ণ চার্জ দিয়ে রাখা দরকার। প্রয়োজনে, সঙ্গে একটি পাওয়ার ব্যাঙ্ক রাখা গেলে তা আরও ভালো। সেটিও যেন সম্পূর্ণ চার্জ থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
২. 4G বন্ধ রেখে 2G ব্যবহার করুন। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় শুধুমাত্র টেলিফোন যোগাযোগ ব্যবস্থা যাতে বজায় থাকে সেদিকে নজর দেওয়াই জরুরি। 4G ব্যবহার করলে ফোনের চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যায়। বিদ্যুৎ সংযোগ যদি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে তাহলে ফোন সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে যাবে। এই সব ক্ষেত্রে 2G ব্যবহার করাই ভালো। যাতে বেশিদিন ফোনে চার্জ থাকে।
৩. যেহেতু প্রায় সবাই স্মার্টফোন ব্যবহার করেন তাই ফোনেই থাকে অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তাই দুর্যোগের আগে সেই সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কোনও ক্লাউড ড্রাইভে সেভ করে রাখা উচিত। প্রাকতিক দুর্যোগের সময় কোনও কারণে ফোনটি নষ্ট হয়ে গেলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাতে পাওয়া যায় তার জন্য।
৪. একটি পোর্টেবল Wifi ডিভাইস রাখা দরকার। দুর্যোগের সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে আপনার বাড়িতে থাকা Wifi হটস্পটটি কাজ নাও করতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাউটার চালাতে বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে হটস্পট সঙ্গে রাখলে বিদ্যুৎ চলে গেলেও নেট পরিষেবা চালু রাখা সম্ভব হয়।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল