Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা কাজের পরামর্শের পর দেশের শ্রমিকদের কাজের মানসিকতা নিয়ে মন্তব্য করে ফের বিতর্কে লারসেন অ্যান্ড টুব্রো সংস্থার প্রধান এসএন সুব্রহ্ম্যণম। কাজের প্রয়োজনে অন্যত্র যেতে দেশের কর্মীদের মধ্যে অনীহা কাজ করে বলে অভিযোগ তাঁর। তিনি মনে করেন, সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের প্রতুলতার কারণেই এই মানসিকতা বাড়ছে। মঙ্গলবার চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত একটি সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেছেন। যা নিয়ে ফের আরও একবার অসন্তোষ তৈরি হয়েছে নেটিজ়েনদের মধ্যে।
কর্মীদের মানসিকতার প্রসঙ্গে এলঅ্যান্ডটি কর্তা সুব্রহ্ম্যণম বলেছেন, ‘সুযোগ পেলেও অন্যত্র যেতে চান না শ্রমিকরা। নিজেদের হোমটাউনের বাইরে যাওয়া নিয়ে প্রবল অনীহা রয়েছে কর্মীদের মধ্যে। আরাম ছেড়ে বেরতে চান না তাঁরা। হয়তো বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়াতেই ইচ্ছায় ভাটা তৈরি হয়।’ শ্রমিকের অভাবে ভারতের ইনফ্রাস্ট্রাকচার সেক্টরে প্রভাব ফেলছে বলেও মনে করেন লারসেন অ্যান্ড টুব্রো কর্তা। এর পাশাপাশি মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সাযুজ্য রেখে শ্রমিকদের বেতনবৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে মধ্য প্রাচ্যের শ্রমিকরা আমাদের দেশের থেকে কত বেশি বেতন পান, তাও তুলে ধরেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, নিজের সংস্থার কর্মীদের সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা কাজ করার পরামর্শ দিয়ে তুমুল বিতর্ক বাঁধিয়েছিলেন লারসেন অ্যান্ড টুব্রো কর্তা। রবিবার তিনি নিজে কাজ করেন বলে জানিয়েছিলেন। কর্মীদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘বাড়িতে বসে থেকে কী করবেন? কতক্ষণ স্ত্রীর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকবেন? অফিসে চলে আসুন, কাজ করুন।’ সপ্তাহে কাজের সময় ৯০ ঘণ্টা হওয়া উচিত বলেও জানান। এর পরই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। আদর পুনাওয়ালা, আনন্দ মাহিন্দ্রা, সঞ্জীব পুরীর মতো দেশের প্রথম সারির একাধিক শিল্পপতি এর বিরোধিতা করেন। ভালো কাজের জন্য ওয়ার্ক লাইফ ব্যালেন্সের বিষয়টিও তুলে ধরেছিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন:- কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে প্রচুর শিক্ষক নিয়োগ চলছে! সরাসরি ইন্টারভিউর মাধ্যমে, বিস্তারিত দেখে নিন
আরও পড়ুন:- সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজের রীতি শুরু হয়েছিল কীভাবে, সে এক অন্য কাহিনি