নতুন সিনিয়র সিটিজেন কার্ড আনল মোদী সরকার। কি সুবিধা, কিভাবে আবেদন করবেন জেনে নিন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

 

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- মোদী সরকারের তরফে নতুন সিনিয়র সিটিজেন কার্ড নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা সকলেই জানি যে বর্তমানে আধার কার্ড (Aadhaar Card) ও প্যান কার্ড (PAN Card) আমাদের দেশের সব থেকে বেশি দরকারি দুই নথিপত্র, এই দুই কার্ড ছাড়া কোন ধরণের সরকারি বা বেসরকারি কাজ করা সম্ভব নয়, আর ভোটার কার্ড (EPIC Voter ID Card) ছাড়া গণতন্ত্রের উৎসব ভোট গ্রহণে যোগ দেওয়া যায় না।

সিনিয়র সিটিজেন কার্ড ২০২৫

একজন ভারতীয় নাগরিকের বিভিন্ন রকম আইডি রয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার একটি নতুন ডকুমেন্ট সিনিয়র সিটিজেন কার্ড চালু করতে চলেছে। নতুন বছর শুরুর পর দীর্ঘ বৈঠকের মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে একটি নতুন ডকুমেন্ট চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, এই নতুন ডকুমেন্টের নাম হল সিটিজেন কার্ড।

সিনিয়র সিটিজেন কার্ড অনলাইন রেজিস্ট্রেশন

এই সিনিয়র সিটিজেন কার্ড কিভাবে তৈরি করবেন বা এই কার্ডের প্রয়োজনীয়তা কেন রয়েছে এই সকল তথ্যই থাকছে আজকের এই প্রতিবেদনে। জানা গিয়েছে, ২০২৫ সালের মার্চ এপ্রিল মাসে জন গণনার কাজ শুরু করার কথা রয়েছে, সেই সাথে জাতীয় জন সংখ্যা পঞ্জি আপডেটের কাজ করা হবে কেন্দ্রীয় সরকারের (Government of India) তরফে।

আরও পড়ুন:- মাসে 31,000 টাকা বেতনে কলকাতা এয়ারপোর্টে নতুন কর্মী নিয়োগ। শীঘ্রই আবেদন করুন

পশ্চিমবঙ্গ সিনিয়র সিটিজেন কার্ড অনলাইনে আবেদন করুন

জাতীয় জন সংখ্যা পঞ্জি এটি ২০১০ সালে করা হয়েছিল, এরপরে এই ২০২৫ সালে আবার সেটি আপডেটের কাজ করার চিন্তা ভাবনা চলছে। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি ১০ বছর অন্তর সেন্সাসের পাশাপাশি NPR করা হয়। যদিও অনেক বছর এই কাজ হয়নি করোনা মহামারীর ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির জন্য, তার জন্যই পুনরায় ২০২৫ সালে এই কাজ করা হবে।

Senior Citizen Card 2025

২০২৬ সালের মার্চ মাসে সেন্সাসের রিপোর্ট প্রকাশিত হবে। এরপরে লোকসভা ও বিধানসভা আসন পুনর্বিন্যাসের জন্য ডিলিমিটেশন কমিশন গঠন করা হবে। এর জন্য নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য নতুন করে একটি সিটিজেন কার্ড ইস্যু করার চিন্তা ভাবনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বৈধ ভারতীয় নাগরিকদের পরিচয়কে সুনিশ্চিত করবে এই সিটিজেন কার্ড।

সিনিয়র সিটিজেন কার্ড বাধ্যতামূলক?

কার্ডে থাকবে একটি ইউনিক সিটিজেন নাম্বার, যেটি ভবিষ্যতে নাগরিকত্বের প্রধান প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হবে। আধার কার্ড, ভোটার কার্ডের মতনই এই কার্ডটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে পরিলক্ষিত হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মতে দেশের বৈধ এবং অবৈধ নাগরিকদের চিহ্নিত করার জন্যই এবং আগামীতে নিরাপত্তার স্বার্থে এই সিটিজেন আইডি কার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে।

২০২৫ সালের সেন্সাস এবং NPR এর ভিত্তিতে এই কার্ড ইস্যু করা হবে। আগামী বছরের বাজেটে এই কার্ড ইস্যুর জন্য আলাদা করে অর্থ প্রদান করা হবে। ২০১৯ সালের সেন্সাস এবং NPR আপডেটের জন্য যথাক্রমে ৮৭৫৪ কোটি টাকা এবং ৩৯৪১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। এবার এই সিটিজেন কার্ড ইস্যু করা হলে এর জন্য আরও বাড়তি অর্ধ প্রদান করা হবে।

আধার কার্ড, ভোটার কার্ড বা প্যান কার্ড এই গুলো পূর্ণাঙ্গ নাগরিকত্ব প্রমাণ করে না, সেক্ষেত্রে এই বৈধ নাগরিকদের একটি উপযুক্ত ও পূর্ণাঙ্গ প্রমাণের জন্য এই সিনিয়র সিটিজেন কার্ড চালু করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, আর এর জন্য দেশবাসীকে আগাম প্রস্তুত থাকার জন্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী ২০২৯ সালের ভোটের আগে এই কাজ সম্পন্ন হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। এই সম্পর্কে এখন বিস্তারিত তথ্য জানা বাকি আছে তাই এর জন্য আরও কিছুদিন সকলকে অপেক্ষা করতে হবে।

আরও পড়ুন:- বদলে যাচ্ছে UPI পেমেন্টে টাকা লেনদেনের পদ্ধতি, বিস্তারিত জেনে নিন

 

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন