Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ সমাগত। আর মাত্র কয়েকটি দিন বাকি। বসন্তের রুক্ষ্মতা কাটিয়ে চারিদিক ফের সেজে উঠছে রঙিন মোড়কে। চারপাশে সাজসাজ রব। প্রথমদিন পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে গোটা রাজ্যে নানা রকম বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সেই আনন্দকে বাড়তি যোগাচ্ছে চারদিনব্যাপী ‘বাংলার খাবার’ খাদ্য উৎসব। বাংলা ১৪৩২ সালের প্রথম দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে পর্যটন দফতরের পক্ষ থেকে চার দিনব্যাপী বিশেষ এক খাদ্য উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলার প্রাচীন ও বৈচিত্র্যপূর্ণ খাদ্যসংস্কৃতিকে তুলে ধরা এবং দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করাই এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য। একই সঙ্গে, ক্ষুদ্র ও স্থানীয় খাদ্য ব্যবসায়ীদের জন্য এটি একটি বড় প্ল্যাটফর্ম যেখানে তারা নিজেদের পণ্যের প্রচার ও বিক্রি করতে পারেন। গোটা রাজ্য়েই বিভিন্ন জায়গায় এই বন্দোবস্ত থাকছে। দার্জিলিং জেলার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নববর্ষে ভরপুর বাঙালিয়ানার জন্য প্রথমবার এরকম ভূরিভোজের আয়োজন করা হয়েছে দফতরের তরফে। থাকছে আগাম বুকিংয়েরও ব্যবস্থাও। এই আয়োজন সাড়া ফেলবে বলে তাঁরা আশাবাদী।
কবে থেকে শুরু ওই উৎসব?
তারিখঃ ১২ থেকে ১৫ এপ্রিল
স্থানঃ মৈনাক ট্যুরিস্ট লজ শিলিগুড়ি ও বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রের সরকারি আবাস।
সময়: প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত
কী থাকছে এই উৎসবে
এই উৎসবে উপস্থিত থাকবে বাংলার বিভিন্ন জেলার ঐতিহ্যবাহী ও অপ্রচলিত সব খাবার। পান্তা ইলিশ, খিচুড়ি ও বেগুন ভাজা, চিতই পিঠা, পাটিসাপটা, ভাপা পিঠা, মুরগির ঝাল ঝোল, কষা মাংস, চিংড়ি মালাইকারি, নানা রকম ভর্তা, শুঁটকি ভুনা, চাল ভাজা, রসগোল্লা, সন্দেশ, চমচম, মিষ্টি দই, মেনুতে থাকছে আমপানার শরবত, লুচি, ছোলার ডাল, বড়ি দিয়ে শুক্তো, এঁচোড়, মাছ, মাংস, জল ভরা তালশাঁস, পায়েস, রাবরি ইত্যাদি। ১২ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত চলা অনুষ্ঠানে মিলবে আমিষ, নিরামিষ- দু’রকম পদই।
আদিবাসী এলাকায় বনভোজন-ভিত্তিক দেশি খাবার যেমন হাঁসের মাংস, কাঁকড়ার ঝোল
টিকিট ও প্রবেশ
প্রবেশ মূলত নিঃশুল্ক, তবে কিছু বিশেষ খাবারের স্টলে মূল্য নির্ধারিত থাকবে। পরিবার নিয়ে আসার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থাও থাকবে।
আরও পড়ুন:- বদলে যাচ্ছে UPI পেমেন্টে টাকা লেনদেনের পদ্ধতি, বিস্তারিত জেনে নিন