Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- নাগপুর হিংসার ঘটনায় নয়া মোড়। হিংসায় উস্কানি দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশ থেকে। এমন তথ্য সামনে এল। ঘটনার তদন্তে নেমে নাগপুর পুলিশের সাইবার সেল বাংলাদেশ থেকে পরিচালিত একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করেছে। সেই অ্যাকাউন্ট থেকে বিদ্বেষ ছড়ানো হয় বলে দাবি করেছে পুলিশ।
সাইবার সেল জানিয়েছে, হিংসা উস্কে দেওয়ার কাজ করেছে একটি বাংলাদেশি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। সেই অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করা হয়েছে। সেখান থেকে হিংসায় উস্কানি দেওয়ার কাজ করা হয়েছিল। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার ভবিষ্যতে আরও বড় হিংসার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘সোমবারের হিংসা ছিল একটি ছোটো ঘটনা। ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের হিংসা হবে।’
পুলিশ জানিয়েছে যে তদন্তে জানা গেছে যে এই অ্যাকাউন্টটি পরিচালনাকারী একজন বাংলাদেশের বাসিন্দা এবং তিনি বাংলাদেশ থেকেই এই বার্তাটি পোস্ট করেছিলেন। সাইবার সেল ফেসবুকে যোগাযোগ করে ওই অ্যাকাউন্ট ব্লক করার আবেদন করেছে।
আরও পড়ুন:- কলকাতা নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বিভাগে সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগ চলছে! শীঘ্রই আবেদন করুন
নাগপুর পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত এমন ৯৭টি পোস্ট শনাক্ত করা হয়েছে। সেই পোস্টগুলো থেকে মিথ্যা ও গুজব ছড়ানো হয়েছিল। পুলিশের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়াতে এও দাবি করা হয়েছে হিংসায় জখম দুজন হাসপাতালে মারা গেছেন। তবে এই তথ্য সম্পূর্ণ ভুল।
হিংসা থামাতে সাইবার সেল আবেদন জানিয়েছে, কোনও তথ্য যাচাই না করে যেন কেউ বিশ্বাস না করেন। সাধারণ মানুষকে গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বানও জানানো হয়। মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করে নাগপুর পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত ফাহিম খান সহ ৫০ জনেরও বেশি জনকে গ্রেফতার করেছে।
মহারাষ্ট্রের খুলদাবাদেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ঔরঙ্গজেবের সমাধির চারপাশে একটি অস্থায়ী পাঁচিল তৈরি করা হয়েছে। খুলদাবাদের দিকে যাওয়ার সব রাস্তায় আগে থেকেই ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। এখন সমাধিতে প্রবেশ করতে হলে আধার কার্ড দেখাতে হবে।
প্রসঙ্গত, ঔরঙ্গজেবের সমাধি নিয়ে রীতিমতো অশান্ত নাগপুর। সোমবার রাতে থেকেই হিংসার আগুন জ্বলছে সেখানে। গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন জায়গায়। পরিস্থিতি সামলাতে জারি করা হয় কার্ফু। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়নি। মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।