Bangla News Dunia, Pallab : সুপ্রিম কোর্ট এবং দেশের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাকে নিয়ে দলীয় সাংসদ নিশিকান্ত দুবে (Nishikant Dubey) যে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন, তার থেকে দূরত্ব বাড়াল বিজেপি। নিশিকান্তের পাশাপাশি আরও এক বিজেপি সাংসদ দীনেশ শর্মাও সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনা করেছেন। তাঁর ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (J P Nadda) সাফ কথা, ‘ওই দুই সাংসদ যা বলেছেন, সেটা ওঁদের ব্যক্তিগত মত। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই।’ নাড্ডার কথায়, ‘বিজেপি এই সমস্ত কথাবার্তাকে খারিজ করে দিচ্ছে। বিজেপি আদালতকে সম্মান করে। সর্বোচ্চ আদালত সহ দেশের সমস্ত আদালত গণতন্ত্রের অভিন্ন অঙ্গ তথা সংবিধানকে রক্ষা করার মূল আধার।’
আরও পড়ুন : গরমে ভুল স্নান মানেই বিপদ! এই নিয়ম না জানলে হতে পারে বড় ক্ষতি
দেশে ধর্মীয় গৃহযুদ্ধের জন্য প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না দায়ী বলে শনিবার মন্তব্য করেছিলেন নিশিকান্ত দুবে। রাষ্ট্রপতিকে তিনমাসের মধ্যে বিল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার যে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি দিয়েছে, তারও সমালোচনা করেন গোড্ডার সাংসদ। ওই মন্তব্য নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে বিরোধী শিবিরে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অনস তনবীর তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটারমানিকে চিঠি লিখেছেন। ওই আইনজীবী ওয়াকফ মামলায় একজন মামলাকারীর কৌঁসুলি। তাঁর সাফ কথা, ‘নিশিকান্ত দুবে লজ্জাজনক মন্তব্য করে শীর্ষ আদালতের মর্যাদায় আঘাত করেছেন। উনি যা বলেছেন সেটা অত্যন্ত অবমাননাকর এবং উসকানিমূলক।’
তবে দল দূরত্ব বাড়ালেও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না নিশিকান্তের। ওয়াকফ সংশোধনী আইনের সমালোচনা করে প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এসওয়াই কুরেশি এক্স হ্যান্ডেলে অভিযোগ করেন, কেন্দ্র ওই বিতর্কিত আইনের মাধ্যমে মুসলিমদের জমি দখল করতে চায়। তিনি বলেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের পরিকল্পনা বাতিল করে দেবে বলে আমি আশা করি।’ কুরেশির ওই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে নিশিকান্ত দুবে বলেন, ‘কুরেশি নির্বাচন কমিশনার নন, উনি একজন মুসলিম কমিশনার। উনি সিইসি থাকাকালীন সাঁওতাল পরগনায় সর্বাধিক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে ভোটার পরিচয়পত্র দিয়ে তাদের বৈধ ভোটার বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।’ ২০১০ সালের ৩০ জুলাই থেকে ২০১২ সালের ১০ জুন পর্যন্ত সিইসি পদে ছিলেন কুরেশি।