Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : প্রতি বছর ভাদ্র সংক্রান্তিতে হয় বিশ্বকর্মা পুজো। তিনি প্রযুক্তি বিদ্যার বা কারিগরি বিদ্যার দেবতা। তবে কি না অন্য পুজোর মতোই বিশ্বকর্মা পুজোরও কিছু বিধিবিধান রয়েছে। যা পালন করলে ফল মেলে বেশি, এমনটাই মনে করেন শাস্ত্রজ্ঞরা। দেখুন সেই নিয়ম রীতি গুলি —–
যুগে যুগে ভারতে যত সুন্দর নির্মাণ শৈলী তৈরি হয়েছে, সব নির্মাণ করেছেন বিশ্বকর্মা। তার হাত ধরেই ধরিত্রীতে পুষ্পক বিমান, দ্বারকা নগর, যমপুরী, কুবেরপুরী নির্মিত হয়েছে। প্রতি বছর ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিতে পালিত হয় দেবতার পুজো। অন্যান্য দেব-দেবীর পুজোর মতোই বিশ্বকর্মা পুজোরও বিশেষ বিধি রয়েছে। সঠিক পন্থায় পুজো করলে সন্তুষ্ট হন দেবতা।
১. বিশ্বকর্মা পুজোয় দীপ, ধুপ, জল ও পৈতে লাগবে। পুজোর সামগ্রীতে অবশ্যই থাকা চাই চন্দন, পরামর্শ জ্যোতিষবিদদের।
২. পুজোর মতো ফুল দিয়ে দেবতার আরাধনা করতে হবে। জ্যোতিষবিদরা দেবতাকে সাদা ফুল অর্পণ করার পরামর্শ দিচ্ছেন।
৩. শাস্ত্র মতে বিশ্বকর্মা দেবের পুজোয় কপালে টিকা লাগানো জরুরি। এর অর্থ হল দেবতার সামনে নিরাপত্তা ও সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি রাখা। এসব কারণেই বিশ্বকর্মা পুজোয় সিঁদুরের টিকা দেওয়া শুভ।
৪. বিশ্বকর্মা পুজোর দিন বাড়িতে থাকা যন্ত্রপাতি, সরঞ্জামের প্রতি যত্নশীল হওয়া উচত, মনে করেন শাস্ত্রজ্ঞরা। যন্ত্রপাতি গুলিকে অয়েলিং করে, ধুয়ো মুছে রাখা উচিত। এই সব যন্ত্রপাতি ভালও থাকে সারা বছর। ভবিষ্যতে কাজে লাগাতে সুবিধা হয়।
৫. তবে ঘরের যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম সংক্রান্ত অন্য নিয়মও রয়েছে। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন বাড়ির যন্ত্রপাতি, রান্নাঘরে ব্যবহৃত সরঞ্জাম কাউকে দেওয়া উচিত নয়।
৬. বিশ্বকর্মা দেবের পুজোর দিনে অচেনা কোন থেকে খাবার নিয়ে ঘরে রাখতে নেই, বলছেন বহু জ্যোতিষবিদ। এর ফলে পুজোর দিনে নেতিবাচক এনার্জি ঘরে প্রবেশ করতে পারে, যা কেউ চায় না। বিশ্বকর্মা পুজো শেষে হোমের প্রসাদ সকলকে বিতরণ করা বাঞ্ছনীয়।
এই সব নিয়ম আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভক্তির সঙ্গে পালন করলে দেবতা তুষ্ট হন। দেবশিল্পি মহাভাগ দেবানাং কার্য্যসাধক। বিশ্বকর্মন্নমস্তুভ্যং সর্বাভীষ্টপ্রদয়ক।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল