নেপালের সঙ্গে ভারসাম্যে চলতে হবে দিল্লিকে, পরামর্শ শশীর

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ নেপালের অধিবাসীদের সঙ্গে সীমান্তপারের ভারতীয়দের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। সেদেশে তরুণ প্রজন্মের সহিংস বিদ্রোহে সরকারের পতন অস্থিরতা বাড়িয়েছে। নেপালে(Nepal) অস্থিরতা ভারতের স্বার্থের পক্ষে ক্ষতিকারক। দিল্লির দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়েছে চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)-প্রকল্পের মাধ্যমে সেদেশে বেজিংয়ের প্রভাব বৃদ্ধি। বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সাংসদ শশী থারুর এমন মন্তব্যই করলেন। তিনি ভারতের স্বার্থ রক্ষার্থে সাবধানে পা ফেলে ভারসাম্যের পথে হাঁটার কথাও বলেছেন।

শশী বলেছেন, ‘একটি সার্বভৌম পড়শি রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে আমাদের স্বার্থ রক্ষার্থে সূক্ষ্ম, কৌশলপূর্ণ ভারসাম্যের নীতি নেওয়া দরকার।’ কংগ্রেস সাংসদ একটি প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নেপাল অস্থির হওয়ার প্রত্যক্ষ ক্ষতিকারক দিকগুলি হল সেদেশে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা, আইনশৃঙ্খলার অবনতির সঙ্গে সীমান্তে মানব-পাচার, ভারতবিরোধী তৎপরতা বেড়ে যাওয়া। সেদেশে নিরাপত্তায় শূন্যতার সুযোগে পাকগুপ্তচর সংস্থা আইএসআই নেপালের মাটি ব্যবহার করে ভারতে ঝামেলা পাকাতে পারে।

কংগ্রেস সাংসদের পরামর্শ, নেপালের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কাটাছেঁড়া না করে ভারতের উচিত নেপালের জন্য যে সমস্ত প্রকল্প ভারত রূপায়ণ করছে সেগুলি সময়মতো শেষ করা। নয়া প্রকল্পে বিনিয়োগ, উৎসাহ দিতে হবে দু’দেশের মধ্যে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়, যোগাযোগের নতুন মাধ্যম খোলা ও নেপালিদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে।

নেপালের(Nepal) বিক্ষোভ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় টুলকিট তত্ত্বের কথা উল্লেখ করে তিরুবনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদের বক্তব্য, নেপালে অস্থিরতা ভারতের স্বার্থের পক্ষে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিকারক। সাবধান থাকতে হবে ভারতীয়দের।

 

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন