আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য দেশগুলিকে (Nato nations) চিনের উপর চড়া শুল্ক আরোপের পরামর্শ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। মূলত মস্কোকে চাপে ফেলতেই রুশ তেল (Russian oil) ক্রেতাদের উপর শুল্ক আরোপের এই পরামর্শ ন্যাটো দেশগুলিকে দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে ন্যাটো দেশগুলিকেও রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। আর ট্রাম্পের চড়া শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারির কয়েক ঘণ্টা পরই এবার কড়া ভাষায় জবাব দিল চিন (US-China)।
শনিবার স্লোভানিয়া সফর থেকেই এক স্পষ্ট বার্তায় চিনের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। তিনি বলেন, ‘চিন যুদ্ধের পরিকল্পনাও করে না বা যুদ্ধে অংশগ্রহণও করে না। যুদ্ধ কখনও কোনও সমস্যার সমাধান করতে পারেনা, বরং নিষেধাজ্ঞাগুলিকেই আরও জটিল করে তোলে।’
আমেরিকার মসনদে বসার পর থেকেই রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প। কিন্তু এখনও কোনও সুরাহা মেলেনি। রাশিয়ার থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখার শাস্তি হিসেবে ভারতের উপরেও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি। কারণ ট্রাম্পের দাবি, তেল বিক্রি করে ভারত থেকে পাওয়া অর্থের মাধ্যমেই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। কিন্তু ভারতের উপর শুল্ক আরোপের পরও কিছুই হচ্ছে না দেখে মস্কোকে চাপে ফেলতে আরও কঠোর পদক্ষেপের কথা ভাবছেন ট্রাম্প।
উল্লেখ, রুশ তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হল চিন। ভারত রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। সেই সঙ্গে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ন্যাটোর সদস্য দেশ তুরস্ক। এছাড়াও হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়াও রাশিয়ার থেকে তেল কেনে। তাই ন্যাটোর সদস্য দেশগুলির কাছে রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ট্রাম্প চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘সব ন্যাটো দেশ সম্মত হলে আমি রাশিয়ার উপর বড় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে তৈরি। তাঁদেরকেও একই কাজ করতে হবে। সব ন্যাটো দেশ যদি রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে এবং চিনের পণ্যের উপর ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, তবেই এই প্রাণঘাতী যুদ্ধ বন্ধ হবে। যদিও যুদ্ধ শেষ হলে সেই শুল্ক প্রত্যাহারও করা হবে।’ আর ন্যাটো দেশগুলিকে দেওয়া ট্রাম্পের এই পরামর্শের পরই মুখ খুলল চিন।