Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : পঞ্চতত্বের সঙ্গে মিশে এই সৃষ্টির রচনা হয়েছে। আকাশ, পৃথিবী, জল বায়ু ও অগ্নি হল পঞ্চতত্ব। তবে সবই স্বতন্ত্র অস্তিত্ব রয়েছে। কিন্তু যখন এগুলিকে নিয়ন্ত্রিত করা হয়, তা হলে সমস্ত শক্তির একত্রিত প্রভাব লাভপ্রদ হয়। বাড়িতে পঞ্চভূতের ভারসাম্য রেখে তৈরি করা হলে তাতে বসবাসকারী ব্যক্তিদের শারীরিক ও আন্তরিক শক্তি সেই মহাভূতের সঙ্গে সামঞ্জস্য স্থাপন করে ব্যক্তিকে সুস্থ ও সম্পন্ন করে রাখবে। পঞ্চভূত আর এর কাহিনী জানুন একনজরে ——
১. ভূমি হইতে জীবের চৰ্ম্মমাংসাদি সমন্বিত শরীর সংস্থান সঙ্ঘটিত হইয়া থাকে। ভূমি, লোক সকলকে ধারণ করিতেছে। পৃথিবী এই জীব জগৎ পালন করিয়া থাকে। এই ভূমিই আবার ধ্বংশের প্ৰধান কারণ। ইহার অমাত্ম নাসিকা। ইহার দ্বারা দেহের পুষ্টি সাধন হয়।
২. অপ-জল, শরীরের শুক্ৰ, মজ্জা, মেধ, এবং ত্বক, সন্ধিস্থিত স্নেহ, ও রুধির প্রবাহ উৎপন্ন করে। জলীয় অংশ অপসৃত হইলে তৃষ্ণা জন্মে, রক্ত তারল্য অভাবে মৃত্যু ঘটে। এই জন্য ইহার নাম জীবন। জিহবা ইহার অমাত্ম বুদ্ধির প্রেরণায় বাক্য উচ্চারণ করে। আস্বাদ গ্রহণ ইহার গুণ, ইহার নাম বাগিন্দ্ৰিয়।
৩. তেজঃ চৈতন্যসহগামী ও জীবনীশক্তির অনুমাপক। তেজঃ অভাবে মৃত্যু হয়। চক্ষুদ্বয় ইহার অমাত্ম। চক্ষু দ্বারাই চরাচর জগৎ দেখিতে পাওয়া যায়। রূপ গ্ৰহণ ইহার গুণ, বুদ্ধি কর্ত্তৃক প্রেরিত হইয়া কাৰ্য্য করে।
৪. মরুৎ-বায়ু কাৰ্য্যকারণভেদে পঞ্চবিধ। প্ৰাণ, অপান, ব্যান, উদান, ও সমান। উর্দ্ধ্ব গমনশীল নাসাগ্রস্থায়ী বায়ুর নাম প্ৰাণ। মহর্ষি কপিল বলেন নাগ, কুৰ্ম্ম, কৃকর, দেবদত্ত, ও ধনঞ্জয় নামে বায়ু আছে। বায়ু হইতে শুভাশুভ ও জীবন ধারণ হয়। বায়ু সকল শারীর কাৰ্য্যের সমাধান কৰ্ত্তা। স্পর্শ ইহার গুণ মহাপ্রভাব বায়ুর প্রভাবে জীবদেহ সবল ও সুস্থ থাকে। ইহাকে স্পর্শেন্দ্ৰিয় কহে। বায়ু জীব জগতের সৃজন পালন ও নাশের কর্ত্তা।
৫. ব্যোম-জীবদেহে বাহ্য অভ্যন্তরে অবকাশ প্ৰদান ইহার কাৰ্য্য। ইহার বাসস্থানও শূন্য প্রদেশ। শ্রবণযুগল ইহার অমাত্ম। এই ইন্দ্ৰিয়ের অভাবে মনুষ্য বধির হয়। আকাশের গুণ শব্দ। আকাশাংশ প্রধান মনুষ্য সর্বসম্পত্তির নিদান।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল