Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। লন্ডনে তাঁকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তার জবাব দিয়েছেন জয়শঙ্কর। তুলে ধরেছেন চিন-ভারত অতীত সম্পর্কের কথা।
লন্ডনের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক চ্যাথাম হাউসে ‘বিশ্বে ভারতের উত্থান এবং ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন জয়শঙ্কর। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, চিনের সঙ্গে সঙ্গে কেমন সম্পর্ক চায় ভারত? এই প্রশ্নের জবাবে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন,’আমাদের (ভারত এবং চিন) অনন্য সম্পর্ক রয়েছে। আমরাই বিশ্বের একমাত্র দুটি দেশ, যাদের জনসংখ্যা ১০০ কোটিরও বেশি। আমাদের দু’জনেরই দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। সময়ের সঙ্গে উত্থান-পতন ঘটেছে’।
‘প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভারসাম্য বদলে যায়’
বিদেশমন্ত্রী বলেন,’দুই দেশই অগ্রগতির পথে। এটাই চ্যালেঞ্জ। আমরা নিকট প্রতিবেশীও। চ্যালেঞ্জ হল, একটি দেশ যখন এগিয়ে যায়, তখন বিশ্ব এবং তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভারসাম্য পরিবর্তিত হয়। এভাবে দুটি দেশ যাদের ঐতিহাসিক ঐতিহ্য রয়েছে, তারা সমান্তরালভাবে এগিয়ে গেলে অনিবার্যভাবে পরস্পরের সঙ্গে তালমিল রেখেই কাজ করে’।
আরও পড়ুন:- কলকাতার সব জলাশয় নিয়ে দারুন সিদ্ধান্ত পুরনিগমের, বিস্তারিত জানুন
‘আমরা চিনের সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্ক চাই’
জয়শঙ্কর বলেন,’মূল বিষয় হল কীভাবে একটি স্থিতিশীল ভারসাম্য তৈরি করা যায়। ভারসাম্যের পরবর্তী ধাপে প্রবেশ করা যায়। আমরা স্থিতিশীল সম্পর্ক চাই। যেখানে আমাদের স্বার্থকে সম্মান করা হবে। স্বীকৃতি দেওয়া হবে আমাদের সংবেদনশীলতাকে। তা দুই দেশের জন্যই মঙ্গলজনক। আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটাই আসলে মুখ্য চ্যালেঞ্জ।
বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন,’গত ৪০ বছর ধরে একটা ধারণা তৈরি হয়েছে যে সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য সীমান্ত এলাকায় শান্তি এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ থাকা দরকার। যদি সীমান্ত অস্থিতিশীল হয়, শান্তিপূর্ণ না হয়, অথবা শান্তির না থাকে , তাহলে তা আমাদের সম্পর্কের উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় প্রভাব পড়বে’।
আরও পড়ুন:- ইন্টারভিউর মাধ্যমে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন করে কর্মী নিয়োগ চলছে! দেখে নিন আবেদন পদ্ধতি
আরও পড়ুন:- কসবা কাণ্ডের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট প্রকাশ, কি জানা গেলো ?