Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- সামনেই স্কুলের ফাইনাল পরীক্ষা। তার আগে মোবাইল ফোন নিয়ে সময় নষ্ট না করতে বলেছিলেন মা। তার পরেও মোবাইল ফোন দেখা বন্ধ করেনি ছাত্রী। এ নিয়ে তাকে বকাবকি করেন তার মা। অভিমানে বহুতল থেকে ঝাঁপ দেয় মেয়েটি। ঘটনা বেঙ্গালুরুর কাডুগোদি ( Kadugodi ) থানা এলাকার। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার বহুতল আবাসনের কুড়ি তলা থেকে ঝাঁপ দেওয়ায় মৃত্যু হয়েছে ওই কিশোরীর। মৃতের নাম অবন্তিকা চৌরাসিয়া। ১৫ বছর বয়সি অবন্তিকা দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, অবন্তিকার বাবা একজন ইঞ্জিনিয়ার এবং তার মা একজন গৃহবধূ। তাদের বাড়ি মধ্যপ্রদেশে। বেঙ্গালুরুর হোয়াইট ফিল্ড এলাকায় একটি বেসরকারি ইংরেজিমাধ্যমের স্কুলে পড়াশোনা করত অবন্তিকা। স্কুলে টেস্ট পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়েছিল সে। তার বাৎসরিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল আগামী শনিবার থেকে।
কিন্তু পরীক্ষার আগে মোবাইল ফোন নিয়েই সময় কাটত তার। এটা লক্ষ্য করার পরেই মোবাইল ফোন নিয়ে সময় কাটাতে আপত্তি জানিয়েছিল তার মা। একই সঙ্গে এখন মোবাইল না দেখে নিজের পড়ায় মনোনিবেশ করার জন্যও তিনি বলেছিলেন তাঁর মেয়েকে। তারপরেই বুধবার নিজেদের আবাসনের ছাদ থেকে ঝাঁপ দেয় অবন্তিকা।
কাদুগোদি থানার পুলিশ জানিয়েছে, মোবাইল ফোন দেখতে মা নিষেধ করায় অভিমানে ২০ তলা থেকে ঝাঁপ দেয় অবন্তিকা। যদিও ওই কিশোরীর বাবা-মায়ের বয়ান এখনও লিপিবদ্ধ করেনি পুলিশ। এই নিয়ে তদন্ত চলছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। অবন্তিকার এই রকম মরণঝাঁপ দেওয়ার পিছনে অন্য কারণ আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগেও পড়াশোনার চাপের কারণে নিজের জীবন শেষ করে দিয়েছেন একাধিক পড়ুয়া। গত ৪ তারিখেই বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয়ের জনানা ভারতী ক্যাম্পাসের হস্টেল রুম থেকে উদ্ধার হয় ২৪ বছর বয়সী এক ছাত্রীর দেহ। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে কন্নড় ভাষা নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। গত ৬ তারিখে রমনগাড়া এলাকার হস্টেল রুম থেকে উদ্ধার হয় ১৯ বছর বয়সী এক নার্সিং পড়ুয়ার দেহ। অনামিকা বিনীত নামের ওই পড়ুয়া প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তাঁর বাবা-মায়ের অভিযোগ, কলেজ কর্তৃপক্ষর চাপের কারণেই তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও ঘটেছে এমন একাধিক ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন:- সামনে এল দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকা, ভারত কত নম্বরে, দেখে নিন
আরও পড়ুন:- কোন খাতে কত টাকা, দেখে নিন রাজ্য বাজেট বরাদ্দের পূর্ণাঙ্গ চিত্র